শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমার পদ্মা আমার জয় বাংলা

আর দুদিন পরেই প্রমত্তা পদ্মার উপরে স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে নতুন ইতিহাসের যে সূত্রপাত হতে যাচ্ছে-যথারীতি এই স্বপ্নের সারথি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর থেকেই তিনি একের পর এক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সার্থক করে তোলার জন্যে উদয়স্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এমন একটা সময় পদ্মা সেতুর সূচনা হতে যাচ্ছে যখন একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ও উদযাপন শুরু হয়েছে। এখন থেকে ৭৩ বছর আগে যখন আওয়ামী লীগের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল, সে সময় ভেতরে ভেতরে একটা মৌলিক রাজনৈতিক শক্তির জন্ম দেওয়ার ভাবনাটি ছিল আমাদের দেশের প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে এবং মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। আওয়ামী লীগ হলো সেই রাজনৈতিক দল যে দলটি সর্বদা বাংলাদেশের মানুষের কথাই বলে এসেছে। মধ্যবিত্ত মানুষের চিন্তা-ভাবনা, আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, এদেশের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা ও অন্তরের কথাগুলো দলটির জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নানাভাবে তা প্রতিফলিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর একটা স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে তার নিজের যে অস্তিত্বের ঘোষণা করেছিল; তা আজও স্বগৌরবে বহমান।

আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে যখন প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করল সেই সময় পর্যন্ত দেশের রাজনীতি ছিল ভূস্বামী-ধনবান এবং সামন্ত শ্রেণির হাতে কব্জাগত। আওয়ামী লীগ হলো সেই রাজনৈতিক দল যে প্রথম রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত, বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ও গণমানুষের প্রবেশ ঘটিয়েছে এবং মানুষের চিন্তা-ভাবনার জগতটাকে প্রসারিত করার জন্যে প্রতি মুহূর্তে তাঁর নিজের অবস্থানকে প্রমাণ করেছে এবং মানুষের কাছে সুদৃঢ় করেছে। এই সুদীর্ঘ পথপরিক্রমা দলটির জন্য কোনোভাবেই সহজ ছিল না; নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও কণ্টকাকীর্ণ ছিল পুরো সময়টিই। পাকিস্তানের তৈরি কাঠামোর ভেতর দিয়েই পাকিস্তানকে অস্বীকার করার ঐতিহাসিক ও সাহসী কাজটিই করেছিল আওয়ামী লীগ। বাঙালির নিজস্ব জাতিসত্তাকে রক্ষা করার বিষয়টি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম থেকেই খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বুজতে পেরেছিলেন এবং সেই অনুযায়ী তার লড়াই-সংগ্রামের পথে সেটিকে মৌলিক পাথেয় হিসেবে সর্বদা সম্মুখে রেখেছিলেন। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে যে রাজনীতিতে পদার্পণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন এবং পরবর্তী সময়েও তার রাজনৈতিক দর্শনের এটিই ছিল একটি অন্যতম মন্ত্র।

১৯৫৭ সালে বামেরা সরে গেলে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলো; তখন অনেকেই ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে গেল; অনেকে আবার দলটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার শেষও দেখে ফেলল। কিন্ত না, আমরা দেখলাম-আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব মহিয়ায়, নিজস্ব আদর্শ ও বিশ্বাসের ভেতর দিয়ে আরো দুর্বার গতিতে ধাবিত হতে লাগলো এবং নিজেকে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল। প্রকৃতপক্ষে, সাতান্নতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মই হলো।

আমরা যদি একাত্তরপূর্ব ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি, এটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে বাঙালি জাতির রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৪৭-এর দেশ ভাগের পর ২৩ বছর বৈষম্যে জর্জরিত হয় পূর্ব পাকিস্তান নামের এই ভূখণ্ডটি। আমরা দেখতে পাই, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ প্রোথিত হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তারই নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় হিংস্র পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বহু-কাঙ্ক্ষিত বিজয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে আসে একাত্তর। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার সেই উদ্দাত্ত কণ্ঠের উচ্চারণই ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির চূড়ান্ত উচ্চারণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

যাকে ছাড়া অধরাই থেকে যেত বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন, মুক্তির স্বপ্ন; তিনি হলেন বাঙালি জাতির কা-ারি হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বিশ্বের চির বিস্ময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যার পুরোটা জীবন নিবেদন করেছিলেন এদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যে; বিনিময়ে সমস্ত প্রকারের অত্যাচার-নির্যাতন-জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি হয়েছিলেন নীলকণ্ঠ। লড়াই-সংগ্রামের এই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে জাতির জনককে তার রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিনই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অতিবাহিত করতে হয়েছে! যার মধ্যে ব্রিটিশ আমলে সাত দিন ছাড়া বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিনই পাকিস্তান সরকারের আমলে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ১৪টি বছরই ছিলেন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে!

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়; আইয়ুব খানের সামরিক আইন জারি করলে তাঁকে হতে গ্রেপ্তার হয়। ১৯৬২, ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। ছয় দফা উত্থাপনের পর জাতির পিতা যেখানে সমাবেশ করতে গেছেন, সেখানেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর ৬৬-তে আবার গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পান। শেষবার ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পরপরই পাকিস্তান সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং পাকিস্তানের কারাগারে তাঁকে হত্যা করার সকল পরিকল্পনাই শেষে ভেস্তে যায়। কিন্ত ৭৫-এ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে সফল হয়।
ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল বাংলাদেশের হৃদয় থেকে তার নাম চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবে; ৭১-এ পরাজিত শক্তির করতলে আবার দেশটাকে নিপতিত করবে। কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই যে, যতই সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে ততই তিনি অধিকতর ঔজ্জল্য নিয়ে পরিব্যাপ্ত হচ্ছেন। তার দেশপ্রেম, তার দূরদর্শিতা, তার জাদুকরী সাংগঠনিক ক্ষমতা, তার মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে সারা জীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, সেই ইতিহাস, সেই অমর কীর্তিকে ঘাতকেরা কি মুছে দিতে পেরেছে? বরং, সেই দেশটিই আজ পৃথিবীর বিস্ময়, বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ পুরো বিশ্বকে সম্মোহিত করে এগিয়ে চলেছে দোর্দ- প্রতাপে। যে দেশটির জন্যে বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবনকেই নিয়োগ করেছিলেন এবং যেই স্বপ্নগুলো তার অসম্পূর্ণ ছিল –সেই স্বপ্নগুলো আজ পর্যন্ত তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে পদদলিত করে একটি একটি করে দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ঘাতকেরা তাকেও বারংবার খুন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। কিন্ত জাতীয় চার নেতাকে আমরা নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে দেখেছি। এ ছাড়াও, দলটির অসংখ্য নেতা-কর্মীর জীবন দিতে হয়েছে। সুতরাং, এই আওয়ামী লীগ যে আজ অবধি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত হতে পেরেছে তার পেছনের কারগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো মানুষের জন্যে দলটির বহু ত্যাগ স্বীকার।

 

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়।’ মুক্তিযুদ্ধেরও লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। তাকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন- ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছেন। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। কিন্ত কুচক্রীরা কি আর থেমে আছে? তারা নানা কথা বলে চলেছেন, নানা রকমের ষড়যন্ত্র করে চলেছেন; কিন্ত আওয়ামী লীগ তার পথে অবিচল থেকেছে। আওয়ামী লীগ তার নীতিতে অবিচল, তার আদর্শে অবিচল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল, অসাম্প্রদায়িক চিন্তায় অবচল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে এবং একটি অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্য-বঞ্চনাহীন সমাজ গঠনে নিরন্তর ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যে রাজনৈতিক দল সেই দলটিই হলো আওয়ামী লীগ। এই দলের নেতৃত্বেই আজ জাতির জনকের আশংকা দূরীভূত হয়েছে তারই কন্যার হাতে। আজ দেশে মানুষের খাওয়ার চিন্তা নেই, কাপড়ের অভাব নেই। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এক বিস্ময়কর স্বপ্নের প্রকল্পের সফলতার মুখ দেখছে জাতি এবং সেই অর্জন বিশ্বের মানুষের কাছে এক বিস্ময়ের নাম। যদি সপ্তম আশ্চর্যের পর পৃথিবীতে অষ্টম আশ্চর্যের কোনো কিছুকে বিবেচনা করা হয় সেটা হলো -এই পদ্মা সেতু; যার আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২০ বছর। এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় সারা দেশের মানুষ তো বটেই; পৃথিবীর বহু দেশের মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা অবাক বিস্ময়ে ভাবছেন- এই দলটির কাণ্ডারি যেই মানুষটি তিনি কিভাবে সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারলেন!

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যে নৌকা প্রতীক ছিল সেই প্রতীককে আওয়ামী লীগ নিজের করে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই প্রতীক আওয়ামী লীগ বহন করে চলেছে; যেই প্রতীক নদীমাতৃক বাংলাদেশেরই এক চিরন্তন প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বস্তুত, এটি সম্ভব হয়েছে দলটির গণমানুষের কল্যাণে রাজনীতির চর্চা, গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ও নৈতিক আদর্শের প্রতি অটল অবস্থানের কারণেই। সুতরাং, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করেন এবং ভালোবাসেন।

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় ঋদ্ধ একটা সংগঠন হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তার গৌরবময় ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের এযাবত কালের শ্রেষ্ঠ অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন যেন একই যাত্রার সহযাত্রী, একে অপরের পরিপূরক, একই বৃন্তে দুটি ফুল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে এই প্রত্যাশা করি যেন বাংলাদেশকে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গৌরবময় অভিযাত্রায় আওয়ামী লীগের আগামীর দিনগুলো মঙ্গলময় হয়; বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জয় বাংলা।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক জাগরণ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত