শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পর্যালোচনা

বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে আসছে বছরের জন্য কিছুটা সঙ্কোচনমুখী বাজেট কাম্য ছিল। তবে অংশীজনেরা আরও আগে থেকেই বলে আসছিলেন এই কাটছাটের ছাপ যেন স্বাস্থ্য খাতের ওপর না পরে। প্রস্তাবিত বাজেটে কাটছাট হয়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে ৩২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা থেকে ১৪ শতাংশ বেড়ে আসছে বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৩৬ হাজার ৮৬৩ টাকা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রতি বছরই একইভাবে বাড়ছে। ফলে মোট বাজেটের শতাংশ হিসেবে এ খাতে বরাদ্দ অপরিবর্তিতই থেকে গেছে। চলতি বছরের সংশোধিত এবং আসছে বছরের প্রস্তাবিত-এ দুটো বাজেটেই মোট বরাদ্দের ৫.৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এ মন্ত্রণালয়টির জন্য। গত এক দশক ধরেই এই অনুপাত ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। দেশে স্বাস্থ্যব্যয়ের চাহিদা এবং সমতুল্য অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বিশেষজ্ঞরা এ অনুপাত ১০ শতাংশের বেশি করার পক্ষে। আমরা আসছে বছরে মোট বাজেটের অন্তত ৭ শতাংশ এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ করার আহ্বান জানিয়েছিলাম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের সংশোধিত বাজেট এবং আসছে বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনাটি আরেকটু ভেঙে করা যায়। মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটকে পরিচালন এবং উন্নয়ন-এই দুই ভাগে ভাগ করে যদি দেখি তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মোট স্বাস্থ্য বাজেট যেখানে ১৪ শতাংশ বেড়েছে সেখানে স্বাস্থ্যের পরিচালন বাজেট বেড়েছে ১২ শতাংশ, আর উন্নয়ন বাজেট বেড়েছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ উন্নয়ন বাজেটের প্রবৃদ্ধি বেশি। শুধু তাই নয় মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটে চলতি বছরে পরিচালনের অংশ বেশি হলেও আসছে বছরে উন্নয়নের অংশটুকু বেশি হবে। ফলে ধরে নেয়া যায়, স্বাস্থ্য খাতে সেবার আওতা ও নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার জন্য আসছে বছরে বেশি মনযোগ দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ, অর্থাৎ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয়টির বাজেটের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক বেশি হতে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মোট উন্নয়ন বাজেট ১৮ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। তবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা এডিপি-এর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। কারণ, এডিপির আওতায় এই মন্ত্রণলায়টি ছাড়া আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ব্যুরো স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ পেয়েছে। চলতি বছরের এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের তুলনায় আসছে বছরের এডিপিতে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ ৪০ শতাংশ বেশি। প্রস্তাবিত এডিপিতে ৩টি নতুন প্রকল্পসহ স্বাস্থের জন্য মোট প্রকল্পের সংখ্যা ৫৮টি। স্বাস্থ্য খাতে এডিপি বরাদ্দের ৪৬ শতাংশ আসছে উন্নয়ন সহযোগিদের দেওয়া প্রকল্প সাহায্য থেকে।

প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষভাবে উল্লেখ্য বরাদ্দগুলোর মধ্যে আছে-৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন। করোনাকালে গৃহীত ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ এবং ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমারজেন্সি অ্যাসিটেন্স’ প্রকল্প দুটো আসছে বছরে চলমান থাকছে। করোনা-পরবর্তি স্বাস্থ্যগত দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ৫,০০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে (ইতোমধ্যে ২৬ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে)। সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল নীতিমালা ২০২০-এর আওতায় মৌলিক গবেষণা চলমান রাখা হয়েছে এবং এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অসংক্রামক রোগের সঠিক চিকিৎসায় রোগীর তথ্য সংরক্ষণের জন্য এমআইএস সফটওয়্যার সংযোজন এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের কথা বাজেট বক্তৃতায় এসেছে।

সব মিলিয়ে বাজেট ২০২২-২৩-এ স্বাস্থ্য খাতে দেওয়া বরাদ্দকে বিদ্যমান বাস্তবতার প্রতি সংবেদনশীলই মনে হচ্ছে। তবে এটাও মানতে হবে যে, এই বরাদ্দ আরও একটু উদার হতে পারতো। সম্পদের সঙ্কট এবং মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়নের ট্র্যাক-রেকর্ড বিবেচনায় নিয়েই হয়তো বাজেটপ্রণেতারা আরও বরাদ্দ দেয়া থেকে বিরত থেকেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, অন্যান্য খাতে এ মূহুর্তে খুব জরুরি নয় এমন বরাদ্দ আরেকটু কমিয়ে তা থেকে স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি বরাদ্দ নিশ্চিত করা যেতো। পুরো বাজেটে এমন কিছু কিছু মূলধন/উন্নয়ন ব্যয় রয়েছে যেগুলোতে চাইলে কাটছাট করা যায়। আর মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়নের অপারগতার কারণে কম বরাদ্দ দেওয়ার চেয়ে কিভাবে বাস্তবায়ন দক্ষতা বাড়ানো যায় সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।

বরাদ্দে আরেকটু উদার হলে কেমন হতো আসছে বছরের স্বাস্থ্য বাজেট? আমরা মোট বাজেটের ৫.৪ শতাংশের পরিবর্তে ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যের জন্য চেয়েছিলাম। তা হলে স্বাস্থ্য বাজেটের আকার হতো ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি (অর্থাৎ প্রস্তাবিত বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি)। বর্ধিত বরাদ্দের অন্তত ৪৫ শতাংশ যেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য দেয়া হয় আমরা সে দাবিও জানিয়েছি (প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিকে বরাদ্দ মোট স্বাস্থ্য বাজেটের ৩৪ শতাংশ)। স্বাস্থ্য বাজেটের আকার উল্লিখিত মাত্রায় বাড়িয়ে তার ৪৫ শতাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় দিলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা বাবদ বরাদ্দ হতো ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি (অর্থাৎ প্রস্তাবিত বরাদ্দের চেয়ে ৮ হাজার ৭ শো কোটি টাকা বেশি)।

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় এই বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া গেলে তার সম্ভাব্য সুফল কী হতে পারে? উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট গবেষক দল সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, স্বাস্থ্য খাতের ‘মেডিকেল এন্ড সার্জিক্যাল সাপ্লাই’ উপখাতে বাড়তি ১,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারলে, এবং ‘নগদ বেতন ও মজুরি’ উপখাতে বাড়তি ৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারলে গ্রামাঞ্চলের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে সরকারের অংশ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে, এবং নাগরিকদের ‘আউট-অফ-পকেট হেলথ এক্সপেন্ডিচার’ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমবে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের নাগরিকরা স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করছেন। এভাবে বরাদ্দ দেয়া গেলে এ অনুপাত কমে ৫১ শতাংশ হতো। কাজেই দেখা যাচ্ছে আমরা যে বাড়তি ৮ হাজার ৭ শো কোটি টাকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ বাড়াতে বলছি তা দিয়ে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাপ্রার্থীদের ‘আউট-অফ-পকেট কস্ট’ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো সম্ভব।

আগেই বলেছি বাড়তি বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অন্তত প্রস্তাবিত বাজেটের অন্যান্য তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দে কাটছাট করেই পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার জন্য বাড়তি আর্থিক সহায়তা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিদের কাছ থেকে পাওয়াও বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। বাজেট এখনও চুড়ান্ত হয়নি। সংসদের ভেতরে ও বাইরে যে আলোচনাগুলো হচ্ছে তা আমলে নিয়ে কিছুটা হলেও পরিবর্তন-পরিবর্ধনের সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ দরকারবোধে বরাদ্দ বাড়ানোর যে সময়োচিত ঘোষণা দিয়েছেন, সে নীতি স্বাস্থ্য খাতের জন্যও প্রযোজ্য হোক এই প্রত্যাশা রাখছি। সব শেষে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের স্বাস্থ্য বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ অব্যয়িত/অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। অন্য যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো বাজেট বাস্তবায়নে তুলনামূলক বেশি দক্ষতা দেখাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব বলে মনে হয়। এবারে যেহেতু অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা অনুযায়ি বরাদ্দ দেওয়া যায়নি, তাই এবারের বরাদ্দগুলো বাস্তবায়নে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করতে হবে।

*লেখক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত