বইমেলায় রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে সর্বশেষ গিয়েছিলেন ১৯২৩ সালে। তার ঠিক শত বছর পর ২০২২ সালে ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় দেখা মিলেছে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি প্রায় ১৩ বিঘা জমির উপরে অবস্থিত। আর বইমেলায় রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির অনুকৃতিটির সামনে রোজ আসে শত শত রবীন্দ্রপ্রেমী।
বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে থাকা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের স্টলটি নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির অনুকৃতিতে। সে কারণে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শণার্থীদের চোখ ক্ষণিকের জন্য হলেও আটকে যায় সেখানে।
ড. আবুল আহসান চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ও শিলাইদহ বইতে লিখেছেন, নদীয়া জেলার (বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার) কুষ্টিয়া মহকুমার কুমারখালী থানার শিলাইদহ প্রাচীন সমৃদ্ধ গ্রাম হিসেবে এককালে সুপরিচিত ছিল। রাজা সীতারাম রায় এবং পরবর্তীকালে নাটোরের রানি ভবানীর অধিকারভুক্ত জনপদ হিসেবে গ্রামটি সমুন্নত ছিল।
নীলকর সাহেবদের অধিকারে ও অত্যাচারে গ্রামটি শ্রীহীন হয়ে পড়ে। দ্বারকানাথ ঠাকুর এই জমিদারি নাটোর রাজ বংশ থেকে (সম্ভবত নিলামে) কিনে নেন বেনামিতে। পরে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ এই সম্পত্তি অধিকার করেন ও জমিদারি পরিচালনার ব্যবস্থা করেন।
বইয়ে তিনি লিখেছেন, কুঠিবাড়ির একতলার হলঘরটিতে আমলাবর্গ ও প্রজাদের দরবার বসত। সম্মুখের পূর্বদ্বারী ঘরটিতে কবি-জমিদার নিজে অফিস করতেন, পশ্চিমের ঘরটিতে অতিথিবর্গের থাকার ব্যবস্থা ছিল। অন্যান্য প্রকোষ্ঠগুলোতে খাবার ঘর, পল্লী সংগঠনের দপ্তরখানা, ভাঁড়ার ঘর ইত্যাদি ছিল। দোতলায় পূর্বদিকের বড় কামরায় রবীন্দ্রনাথ নিজে শয়ন করতেন। রবীন্দ্রনাথ ওই ঘরটিতেই পরবর্তীকালে সাহিত্য সাধনা করতেন এবং সেখানেই ইংরেজি গীতাঞ্জলীর জন্ম হয়।
এমএ/এসএ/