শ্রমিক সংকটে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে মুগডাল
বরগুনার আমতলীতে মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে, তবে শ্রমিক সংকটে তা ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমতলীর অধিকাংশ কৃষকই আগে আমন ধানের উপর বেশি নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন পাশাপাশি তরমুজ ও মুগডাল চাষ করছেন তারা। ফলনও ভালো পাচ্ছেন। তবে ক্ষেত থেকেই ডাল তোলার কাজে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমে তরমুজের পরে এখানকার বেশিরভাগ জমিতেই মুগ ডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম লাগার কারণে কৃষকরা এ ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে।
এ মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকার কারণে এবার ফলনও ভালো হয়েছে।
আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, এবছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যেসব শ্রমিক পাচ্ছি তাদের ডাল তুলতে অর্ধেক ডাল দিতে হচ্ছে। এতে লোকসান হচ্ছে আমাদের।
রুবি আক্তার নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, ক্ষেতে প্রচুর রোদ। ডাল তুলতে তুলতে পিপাসায় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমরা ৫ থেকে ৬ জন করে একসাথে এক একজন কৃষকের ডাল অর্ধেক ভাগে তুলে দেই। এতে আমাদের এ মৌসুমে বাড়তি আয় হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ, তদারকি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ডালের ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি ১২০০ কেজি থেকে ১৫০০ কেজি ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকার কারণে কৃষকদের ডাল তুলতে সমস্যা হচ্ছে। কৃষকদের যতটা দ্রুত সম্ভব ডাল তুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগময় আবহাওয়া হলে তাদের সমস্যা আরও বাড়বে।
এসএন