বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সবুজ শীষে দুলছে হাওরপাড়ের কৃষকের স্বপ্ন

সুনামগঞ্জ জেলার হাওরগুলোতে এখন ঘন সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ শীষ। আর এই সবুজ ধান গাছের ঢেউয়ে দুলছে হাওরপাড়ের কৃষকের স্বপ্ন। আর কয়েকদিন পরেই সবুজ ধান গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। আর সেই সোনালি ধান কেটে গোলায় তুলতে অপেক্ষায় কিষান-কিষানি।

মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

হাওর অধ্যুষিত সুনামঞ্জ জেলার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই বোরো উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল এবং জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৯৫ হেক্টর বেশি। জেলার ১২ উপজেলার ১৪২ হাওরের বোরো ধানের শিষে এখন ফুল বেরিয়েছে। মাঠে বর্তমানে ফসলের অবস্থা ভালো রয়েছে।

জানা যায়, বোরো ধান কাটতে সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রমিকের কোনো সংকট হবে না। বিভিন্ন উপজেলায় ভর্তুকির আওতায় ৬৬৫টি সচল কম্বাইন হারভেস্টার আছে। এ ছাড়া এই মাসের মধ্যে আরও কিছু কম্বাইন হারভেস্টার ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে সুনামগঞ্জের ডেকার হাওর, শনি হাওর ও খরচার হাওরসহ বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের চাষাবাদে হাওরগুলো সবুজ ধানের শীষে ভরে গেছে। ধান ক্ষেতে সর্বশেষ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। ধান লাভজনক ফসল। তাই কৃষকরা বোরো মৌসুমকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখেন। তবে জেলার কিছু কিছু জমিতে ধানে রোগ দেখা দিয়েছিল। তারপরও সতর্কতার সাথে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করছে কৃষকরা।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কৃষক মাজিদ মিয়া ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, আমাদের শাল্লা উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে ধানের গোছায় গোছায় ফুলে ভরে গেছে। হাওরের দিকে থাকে মনটা জুড়িয়ে যায়, আল্লাহ যদি এবার ফসল দিয়ে যায় তাহলে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখে বাঁচতে পারব।

হাসিভরা মুখে খরচার হাওরপাড়ের কৃষক সুলতাম হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এবার আমার বাবা প্রায় ১৫ কাঠা জমিতে ধান চাষ করেছেন। হাওরে বর্তমানে ধানের ফুল থেকে সবুজ ধান বের হওয়া শুরু হয়েছে। হাওরজুড়ে এখন শুধু সবুজ ধান আর ধান। দিন ভালো থাকলে এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছি। যেভাবে ফসল রক্ষা বাঁধ করেছে যদি বাঁধ না ভাঙে তাহলে সুন্দরভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারব।

বৃহত্তর হাওর ডেকার হাওরের কৃষক নুর মোহাম্মদ মিয়া বলেন, এই বছর ৮ বিঘা জমি চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত মাঠের অবস্থা ভালো আছে। কিছু ধান হলুদ হয়েছিল, এখন ঠিক হয়ে গেছে। দিন ভালো থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আমি আশাবাদী।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ সোম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সুনামগঞ্জে এপ্রিল মাসে ভারি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আপাতত নেই। জেলার প্রধান নদী সুরমাসহ সকল নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে। এবার ধান কাটতে শ্রমিকের কোনো সংকট হবে না। কম্বাইন হারভেস্টার মিশন গতবারের চেয়ে বেশি কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি পাওয়া যাবে। কৃষকরা যাতে ভালোভাবে তাদের ফসল তুলতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্টরা মাঠে কাজ করছেন।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক