শস্যের গোড়া পোড়াতে গিয়ে পুড়ল ১৭ কৃষকের স্বপ্ন!
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের আটঘরিয়া এলাকায় এক কৃষকের জমির গম ঘরে তোলা হয়। এরপর জমিতে থাকা ওই শস্যের গোড়া পোড়াতে দেয়া হয় আগুন। কিন্তু ওই আগুনে পুড়ে গেলো পাশের জমিতে থাকা ১৭ কৃষকের ১২ বিঘায় চাষ করা পাকা গম। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা,মূল্যের ১৮০ মণ গম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগের দাবী, বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই মিমাংসার,চেষ্টা চলছে। বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর ও ক্ষতিগ্রস্থদের বরাতে জানান, রওশন হোসেন নামের এক কৃষক শুক্রবার সকালে নিজ জমির পাকা গম কেটে ঘরে তোলেন।
দুপুর ১২টার দিকে গমের খরের গোড়ার অংশগুলো ধ্বংস করার জন্য আগুন দেন। কিন্তু কাজ শেষ না করেই তিনি বাড়ি চলে যান। ওইসময় জুম্মার নামাজের কারণে অন্যান্য কৃষকও মাঠে ছিলেন না। উপরন্তু সূর্যের তাপও ছিল প্রখর। কুছুক্ষণের মধ্যেই ওই আগুন পাশের পাকা গমের জমিগুলোতে ছড়িয়ে তা পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আশরাফ, গিয়াস, শাহজাহান, সাইফুল, শামসুল জানান, এক বিঘা জমিতে কমপক্ষে ১৫ মণ গম উৎপাদন হয়। সে ক্ষেত্রে ১২ বিঘা জমির আনুমানিক ১৮০ মণ গম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মজিদ, কাদের, চাঁদ মিয়া, সাত্তার, গাফফার জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই ওই গম ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। গম বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি রোজার খরচ যোগার হতো। কিন্তু ওই আগুনে সমস্ত স্বপ্ন আর পরিকল্পনাই শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করে প্রত্যেককে দ্রুত প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ওই বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই সমাধানের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সম্ভাব্য সকল সহযোগীতাই করা হবে।
এএজেড