সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোলায় মাঠে মাঠে সূর্যের হাসি

ভোলার রাজাপুরে কৃষক ইউসুফের মাঠজুড়ে বিরাজ করছে সূর্যের হাসি। দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউসুফ চাষ করেছে হাইসান -৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের।

ভোলার আবহাওয়া এখনো পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় এখানকার সূর্যমুখীচাষিরা এবছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। সরেজমিনে চাষি ইউসুফের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে তার খেতের প্রায় সব গাছেই ফুল ফুটেছে। আর ফুলে ফুলে ছড়িয়ে আছে সূর্যের মতো হাসি।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর ভিবিন্ন উপজেলায় নিজ উদ্যোগ ও প্রকল্পের আওতায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কাটাতে পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সূর্যমখী ফুলের প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিলি লিটার তৈল উৎপাদন হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি শতাংশ জমি থেকে প্রায় ৫০ কেজি বীজ পাওয়া যেতে পারে বলে জানান চাষি ইউসুফ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে তেলের দাম বেশি, অন্যদিকে সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ তেমন একটা হয় না। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হয়। কৃষি উপসহকারী মঞ্জুর স্যারের পরামর্শে আমি গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি তাতে আমার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ লাভ হয়েছে। এবছরও ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখী চাষ করেছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছর দ্বিগুণ লাভ হবে বলে আশা করছেন ইউসুফ।

৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সূর্যমুখীচাষি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ প্রণোদনা নিয়ে ৩০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। খরচ বাদে অর্ধেক লাভ হওয়ার আশা করছি।

আরেক কৃষক মাইনুদ্দিন বলেন, আমার গতবছর সূর্যমুখী ফুলের ফলন ভালো হয়েছে, লাভও হয়েছে তবে ভোলায় তেল উৎপাদনের মেশিন সংকট থাকায় বীজ কম মূল্যে বিক্রয় করে দিতে হয়।

কৃষক তাহের বলেন, সূর্যমূখী বীজ ভাঙানোর মেশিন সচরাচর থাকলে এর চাষির সংখ্যা বাড়বে কারণ সূযমুখীতে লাভ বেশি খরচ কম। যদি মেশিন থাকত তাহলে জেলায় প্রতি বছর সূর্যমুখী চাষ বাড়তো।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, গতবছর জেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল এবছর ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। তবে কৃষক নিজ উদ্যোগে বেশি চাষ করলেও সরকারি প্রণোদনা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমেও সূর্যমুখী চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। এবছর এখনো পর্যন্ত সূর্যমুখীর বড় ধরনের কোনো রোগবালাইের আশঙ্কা নেই এমনকি প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না থাকলে ফলন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। সূর্যমুখী চাষে আমাদের মাঠকর্মীরা চাষিদের আগ্রহী করছেন। কারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, লাভও বেশি। যেহেতু গত বছরের তুলনায় এবছর ভোলায় সূর্যমুখী দ্বিগুণ চাষ হয়েছে আগামীতে জেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ এবছরের চেয়ে দ্বিগুণ হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এসএন

Header Ad

গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ

ছবি: সংগৃহীত

গিলেস্পিকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক আকিব জাবেদ- রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে সেই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই থাকছেন দলটির প্রধান কোচ।

তবে ক্রিকইনফোর সেই খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত গিলেস্পিই প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন।

গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ক্রিকইনফোর খবরটি শেয়ার দিয়ে পিসিবি লিখেছে, ‘পিসিবি এই গল্পকে (প্রতিবেদনকে) দৃঢ়ভাবে ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি লাল বলের ম্যাচে জেসন গিলেস্পিই কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।’

পিসিবি গত এপ্রিলে গিলেস্পিকে টেস্ট এবং গ্যারি কারস্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে কারস্টেন গদত্যাগ করলে গিলেস্পিকে এই সফরের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পাকিস্তান দল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুরে দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা। এরপর জিম্বাবুয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিম্বাবুয়েতে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের পূর্ণাঙ্গ সফর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি টেস্টের আগে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।

পিসিবির ঘোষণা অনুযায়ী, গিলেস্পি দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের প্রধান কোচ থাকছেন, তা নিশ্চিত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের সিরিজগুলোতে পাকিস্তানের প্রধান কোচ কে হবেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন সাবেক পেসার ও বর্তমান নির্বাচক আকিব জাভেদ। শেষ পর্যন্ত কাকে দায়িত্ব দেয় পিসিবি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

Header Ad

প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?

ছবি: সংগৃহীত

সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত দেহকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আমাদের ঘুম প্রয়োজন। তবে মজা ব্যাপার হলো আমাদের ঘুমের সময় সারা দেহ বিশ্রাম নিলেও মস্তিষ্ক সচল থাকে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক সারা দিনের কর্মকাণ্ড বা ঘটনাবলিকে বাছাই ও সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। এসবের মাঝেই আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে আমরা নানা জিনিস দেখি। কিছু বাস্তব আর কিছু অবাস্তব।

অনেক সময় স্বপ্নে আমরা সে মানুষদের দেখি যার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। অনেকে আবার স্বপ্নে তার প্রাক্তনকে দেখে থাকেন। যা অস্বস্তিকর। ভোগ ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ সব উঠে এসেছে। সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে, স্বপ্ন দমিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, মানে আমরা যা গোপনে চাই সেটাই আমরা স্বপ্নে দেখি।
চলুন জানা যাক স্বপ্ন নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

আমরা কেনো নির্দিষ্ট বিষয় স্বপ্ন দেখি তার নির্দিষ্ট কারণ কখনো বিজ্ঞান বের করতে পারে নি। সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল জুং স্বপ্নকে প্রাকৃতিক সত্য বলে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, স্বপ্ন আমাদের বাস্তব চেতনার বাইরে গিয়ে মূল মানসিক অবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তবে তিনি এটাও বিশ্বাস করতেন যে স্বপ্ন সব সময় সরাসরি অর্থ প্রকাশ করে না।

তবে কেনো আমরা প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখি? স্বপ্নে প্রাক্তন সঙ্গীর দেখা পাওয়া অনেক কারণেই হতে পারে। যার কয়েকটি কারণ উল্লেখ্য করেছেন সাইকোলজিস্ট-

অমীমাংসিত আবেগ : প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখার অন্যতম কারণ হতে পারে অমীমাংসিত আবেগ। আপনাদের সম্পর্কের অসম্পূর্ণ অনুভূতি বা স্মৃতি আপনার অবচেতন মনে বারবার নাড়া দিলে এমন হতে পারে। যার ফলে সে ব্যক্তি আপনি স্বপ্নে দেখছেন।

শূন্যতা : বিশেষজ্ঞের মতে, জীবনে কোনো অভাব বা শূন্যতার প্রতীক হিসেবে প্রাক্তনকে স্বপ্ন দেখতে থাকি।

এলোমেলো স্মৃতি : কখনো কখনো কেবল অতীতের স্মৃতির কারণেই প্রাক্তন সঙ্গীকে স্বপ্ন দেখেন। এর পেছনে গভীর মানসিক কোনো যোগাযোগ নেই।

তাহলে প্রাক্তন সঙ্গীকে স্বপ্ন দেখার অর্থ কী?
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখার মানে এই নয় যে আপনাকে সেই সম্পর্কের আবার ফিরে যেতে হবে। বরং এটি হতে পারে অতীত সম্পর্ক বা জীবনের সেই সময়ের কোনো অমীমাংসিত আবেগের প্রতিফলন। যদি স্বপ্নটি একবার বা দুবার দেখা হয় সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু একই স্বপ্ন বারবার ফিরে এলে, এটি আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা অতীতের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত ইঙ্গিত করতে পারে। সুতরাং, প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখে অস্বস্তি অনুভব করলেও, এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বা চেতনার কোনো গভীর দিক আবিষ্কার করার সুযোগও হতে পারে নাও পারে।

Header Ad

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আবারও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারা মহাখালী রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালী ওভারব্রিজের নিচে রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন কলেজটির একদল শিক্ষার্থী। এতে করে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় তাদেরকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। সেদিন সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলীতে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?
মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ প্রকল্পে ব্যয় কমলো ৭ হাজার কোটি টাকা