বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোলায় মাঠে মাঠে সূর্যের হাসি

ভোলার রাজাপুরে কৃষক ইউসুফের মাঠজুড়ে বিরাজ করছে সূর্যের হাসি। দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউসুফ চাষ করেছে হাইসান -৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের।

ভোলার আবহাওয়া এখনো পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় এখানকার সূর্যমুখীচাষিরা এবছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। সরেজমিনে চাষি ইউসুফের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে তার খেতের প্রায় সব গাছেই ফুল ফুটেছে। আর ফুলে ফুলে ছড়িয়ে আছে সূর্যের মতো হাসি।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর ভিবিন্ন উপজেলায় নিজ উদ্যোগ ও প্রকল্পের আওতায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কাটাতে পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সূর্যমখী ফুলের প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিলি লিটার তৈল উৎপাদন হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি শতাংশ জমি থেকে প্রায় ৫০ কেজি বীজ পাওয়া যেতে পারে বলে জানান চাষি ইউসুফ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে তেলের দাম বেশি, অন্যদিকে সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ তেমন একটা হয় না। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হয়। কৃষি উপসহকারী মঞ্জুর স্যারের পরামর্শে আমি গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি তাতে আমার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ লাভ হয়েছে। এবছরও ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখী চাষ করেছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছর দ্বিগুণ লাভ হবে বলে আশা করছেন ইউসুফ।

৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সূর্যমুখীচাষি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ প্রণোদনা নিয়ে ৩০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। খরচ বাদে অর্ধেক লাভ হওয়ার আশা করছি।

আরেক কৃষক মাইনুদ্দিন বলেন, আমার গতবছর সূর্যমুখী ফুলের ফলন ভালো হয়েছে, লাভও হয়েছে তবে ভোলায় তেল উৎপাদনের মেশিন সংকট থাকায় বীজ কম মূল্যে বিক্রয় করে দিতে হয়।

কৃষক তাহের বলেন, সূর্যমূখী বীজ ভাঙানোর মেশিন সচরাচর থাকলে এর চাষির সংখ্যা বাড়বে কারণ সূযমুখীতে লাভ বেশি খরচ কম। যদি মেশিন থাকত তাহলে জেলায় প্রতি বছর সূর্যমুখী চাষ বাড়তো।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, গতবছর জেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল এবছর ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। তবে কৃষক নিজ উদ্যোগে বেশি চাষ করলেও সরকারি প্রণোদনা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমেও সূর্যমুখী চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। এবছর এখনো পর্যন্ত সূর্যমুখীর বড় ধরনের কোনো রোগবালাইের আশঙ্কা নেই এমনকি প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না থাকলে ফলন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। সূর্যমুখী চাষে আমাদের মাঠকর্মীরা চাষিদের আগ্রহী করছেন। কারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, লাভও বেশি। যেহেতু গত বছরের তুলনায় এবছর ভোলায় সূর্যমুখী দ্বিগুণ চাষ হয়েছে আগামীতে জেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ এবছরের চেয়ে দ্বিগুণ হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক