খামারি মোবাইল অ্যাপে সব পরামর্শ পাবে খামারিরা
একজন কৃষকের যত ধরনের পরামর্শ প্রয়োজন এখন থেকে তা খামারি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পাবে কৃষকরা। ক্রপ জোনিং প্রকল্পের খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনকালে বললেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আকতার।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার শেরপুরের পার্বতীপুরে বারি গম-৩৩’র প্রদর্শনী ট্রায়াল অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় কৃষি সচিব বলেন, এক কালের খাঁ-খাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল এখন কৃষি বৈচিত্র্যে ভরপুর। তাই যে এলাকায় যে ফসল বেশি উৎপাদিত হয় সেখানে ক্রপ জোনিং ও ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে সেই ফসল উৎপাদনে উৎসাহিতসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, গ্যাপ অনুসরণ করে উৎপাদিত প্যাকেটজাত ও মানসম্মত আম পুরো মৌসুমজুড়ে জাপানে রপ্তানি করা হবে। এ ছাড়াও অন্যান্য দেশেও আম রপ্তানিতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আম উৎপাদন হলেও দেশে ও দেশের বাইরে সুনাম রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত সুমিষ্ট আমের। যদিও আমের জন্য বিখ্যাত এ জেলায় এখন পর্যন্ত আম কেন্দ্রিক কোনো শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেনি। তাই আগামীতে যেন এ জেলায় আম কেন্দ্রিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরে সচিব স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন এবং স্মার্ট কৃষক তৈরিতে কৃষি অ্যাপসের ব্যবহার ও সুফল নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মো.বখতিয়ার, ক্রপ জোনিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. আব্দুস সালাশ, গোমসআতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বেমগম, আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. বিমুল কুমার প্রমানিকসহ কৃষি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতা ও কর্মচারীরা।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার আমনুরাতে বিনা মসুর-৮ ও বারি সরিষা-১৮’র মাঠ পরিদর্শন ও মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কৃষি সচিব।
এসআইএইচ