গাইবান্ধায় ফলন বাড়াতে ভিন্ন মাত্রায় বোরো আবাদের প্রস্তুতি
গাইবান্ধায় কৃষকদের ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চারা রোপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদন শেষের দিকে পৌঁছেছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলার মাঠে দেখা যায় বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র। এ সময় ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রে-তে গজিয়ে ওঠা চারাগুলোর যত্ন নিচ্ছিলেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মানুষ বাড়লেও বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গাইবান্ধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে চারা উৎপাদন শুরু করছেন। তারা মেশিন দিয়ে মাটিভর্তি ট্রে-তে বপন করছেন হাইব্রিড জাতের ধান, বীজ। সেই বীজ থেকে চারায় পরিণত হয়েছে।
কৃষির সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রে-তে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সমলয় চাষাবাদে হবে বলে জানা গেছে।
পলাশবাড়ীর কৃষক আজগর রহমান জানায়, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রে-তে ধান-চারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রে-তে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এই কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা কৃষি উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের পলাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১০০ একর জমিতে চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই চাষে ইতিমধ্যে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
এসআইএইচ