বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গোবিন্দগঞ্জের মিষ্টি আলু যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে, সুদিন ফিরেছে চাষীদের

উন্নত পৃথিবীর বিখ্যাত বিভিন্ন মাল্টি স্টোরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া একটি খাদ্যপণ্যের চাষ হচ্ছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের চরের মাটিতে। বাংলাদেশের আগোরা, স্বপ্নসহ বিভিন্ন দামী চেইন শপেও প্রায় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা একই মানের মাত্র তিন মাসে উৎপাদিত কন্দল জাতীয় এ ফসলটি। গত দুই বছর ধরে এক প্রকার নীরবেই একটি কৃষি বিপ্লবের জন্ম দেওয়া ফসলটি মিষ্টি আলুর একটি বিশেষ জাত। একটি জাপানি কোম্পানির প্রত্যক্ষ সহায়তায় চাষ হওয়া মিষ্টি আলুর জাতটির নাম ‘কোকি-১৪-গো’। সাধারণভাবে অনেক সস্তা দামের ফসল মনে হলেও এটি আসলে অনেক দামী জাতের একটি খাদ্যপণ্য।

নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এক সময় দিন কাটাতেন খেয়ে না খেয়ে। গত দুই দশক আগে সেখানকার চরের মাটিতে বন্যার পানি নামার পর কন্দল জাতীয় ফসল মিষ্টি আলুর চাষ শুরু হলে তাদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় এই আলু। এরপর ধীরে ধীরে নিজ এলাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজার তৈরি হওয়ায় বদলাতে শুরু করে এখানকার মানুষের ভাগ্য। এক সময় এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি আলু ছিল সবচাইতে সস্তা দামের একটি কৃষি পণ্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত শুরু হলে কয়েক গুণ বেশি দাম পাওয়ায় স্বচ্ছলতা আসে তাদের সংসারে। তখন থেকে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত এক সময়ের এই ‘দুঃখের চরে’র বাসিন্দারা এলাকার নাম বদলে ডাকতে শুরু করেন ‘সুখের চর’ বলে। মিষ্টি আলু চাষের উর্বর ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এই চরগুলোতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে উন্নত জাতের ও উচ্চ মূল্যের ‘কোকি-১৪-গো’ জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর চাষ। গত দুই মৌসুমে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে এখানকার মিষ্টি আলু। জাপানি একটি কোম্পানির সহায়তায় এখন এই আলুর চাষ ছড়িয়ে পড়েছে গাইবান্ধাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায়। নীরবে ঘটে যাওয়া একটি কৃষি বিপ্লবের অংশীদার হয়ে উঠেছেন মঙাপীড়িত উত্তর জনপদের এই এলাকার চাষীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের নদী তীরবর্তী কিছু চরাঞ্চলে রবি মৌসুমের কন্দল ফসল হিসেবে মিষ্টি আলুর ব্যাপক ফলন হয়ে তাকে। এই মাটিতে মানসম্পন্ন জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর চাষ সম্ভব বিবেচনা করে গত দুই বছর আগে এখানে চাষ শুরু করা হয় এই আলুর। জাপানের ‘মারুহিশো প্যাসিফিক গ্রুপে’র প্রতিষ্ঠান ‘নারুতো জাপান কোম্পানি লিমিটেড’ চাষীদের মাঝে চারা, সার ও কারিগরী সহায়তা দিয়ে এই মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করে। গাইবান্ধাসহ দেশের ৫ জেলা দিনাজপুর, বগুড়া, জামালপুর ও শেরপুরের কয়েকটি এলাকার চাষীদের সহায়তা দিয়ে তাদের উৎপাদিত আলু নির্দিষ্ট দামে সংগ্রহও শুরু করে তারা। বর্তমানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে মিষ্টি আলু রোপণের কাজ। চলতি বছর থেকে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জেও প্রদর্শনী ক্ষেতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ আলুর চাষ।

গাইবান্ধা জেলায় কর্মরত ‘নারুতো জাপান কোম্পানি’র ফিল্ড মনিটরিং ইনচার্জ কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ, পারসোনাইডাঙ্গা, চরবালুয়া, বোচাদহ ও সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ও চন্দনপাট গ্রামে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। চাষীরা বিঘার পর বিঘা জমিতে শুরু করেছেন এই আলুর চারা রোপণের কাজ। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কোনও দম ফেলার মতো কোনও অবকাশ নেই এখন।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে এখানকার চাষীদের বীজতলাতেই নার্সারির মাধ্যমে চারা রোপণ করা হয়। এ সময় তাদের মূল বীজ, সারসহ প্রয়্জেনীয় সকল উপাদানই সরবরাহ করা হয়। আবার ওই চারা ১০ ইঞ্চি মাপে কেটে কেটে নেওয়া প্রতিটি খণ্ডের দাম ৩৫ পয়সা হিসেবে চাষীদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে তাদেরকেই বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। ৫৬টি নার্সারি থেকে এ বীজ উৎপাদন করে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আবাদ করার জন্য সারসহ সকল প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করে উৎপাদিত আলু নির্ধারিত ১২ হাজার ৯৬০ টাকা মেট্রিক টন দরে তাদের জমি থেকেই কিনে নেওয়া হয়। এরপর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী ইপিজেডে কোম্পানির কারখানায় নিয়ে প্রক্রিয়াকরণের পর জাপান, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

তিনি আরও জানান, সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ায় চাষীরা ‘কোকি-১৪ গো’ জাতের মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। গত বছর গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে ৯০ মেট্রিক টন, সাঘাটা উপজেলা থেকে ৯৫ মেট্রিক টন ও ফুলছড়ি এলাকা থেকে ৩৪ মেট্রিক টনসহ মোট ২১৯ মেট্রিক টন আলু সংগ্রহ করা হয়েছিল। চলতি বছর এখান থেকে এর দ্বিগুণ পরিমাণ আলু উৎপাদন ও সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সারা দেশে ৩০ হেক্টর জমিতে এই আলুর চাষ করা হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামের আলুচাষী খায়রুল আলম রাজা ও আলম মিয়া জানান, কোম্পানি সার্বিক সহযোগিতা করায় কোনও প্রকার ঋণ বা ঝামেলা ছাড়াই চাষ করতে পারছি। মৌসুম শেষে নগদ ও ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি নিয়েও কোনও চিন্তা করতে হয় না। চাষীদের জন্য এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, কন্দল জাতীয় ফসল মিষ্টি আলুর সুদিন ফিরে এসেছে। এখানকার চাষীদের বিভিন্নমুখী সহায়তা দেওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। দেশি বিভিন্ন জাতের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির জন্য ‘কোকি-১৪ গো’ জাতের আলু চাষেও কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এসআইএইচ


Header Ad
Header Ad

মসজিদে তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রধান আসামি মো. হোসেন সরদার। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন সহদরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মো. হোসেন সরদার (৬০) ও তার সহযোগী সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত হোসেন সরদার মাদারীপুর সদর থানার খোয়াজপুর এলাকার মৃত আছমত আলী হাওলাদারের ছেলে এবং নিহতদের চাচা। তার সহযোগী সুমন সরদার বাবলাতলা এলাকার হাছেন সরদারের ছেলে।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৮ মার্চ হোসেন সরদারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাইফুল সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। সাইফুল সরদার ও তার দুই ভাই আতাউর সরদার ও পলাশ সরদার প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নেন। কিন্তু হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাদের কুপিয়ে আহত করে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সাইফুল সরদার (৩৩) ও আতাউর সরদার (৩৫) মারা যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় ১৪ মার্চ মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। র‌্যাব-৮ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হোসেন সরদারকে আশুলিয়া থানাধীন চিত্রাশাইল এলাকা থেকে এবং সুমন সরদারকে শরীয়তপুরের পালং থানার আরিগাও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাবের তদন্তে জানা গেছে, উভয় পক্ষই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বালুর ব্যবসার বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস, নেটিজেনদের ক্ষোভ

লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় কয়েকজন বৃদ্ধ ও যুবককে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে শহরের থানা রোডে বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ লাঠি হাতে নিয়ে রোজাহীন লোকদের খাওয়ার সময় প্রকাশ্যে শাস্তি দেন। তিনি কয়েকটি দোকানে ঢুকে রোজা না রাখা কিছু বৃদ্ধ-যুবককে ধরেন এবং তাদেরকে কান ধরিয়ে ওঠ-বস করানোর নির্দেশ দেন।

এ ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ-যুবকরা লজ্জায় ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলেও বণিক সমিতির নেতার এমন আচরণের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, "রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। কিছু লোক রোজা না রেখে শামিয়ানা লাগানো দোকানে ঢুকে খাবার খাচ্ছিলেন, যা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়। তাই তাদের শাস্তিস্বরূপ কান ধরিয়ে ওঠ-বস করানো হয়েছে।"

এ ঘটনার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, "ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব, আর যদি কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

Header Ad
Header Ad

বিদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। সে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের বিদেশে অবস্থান করার ছবি ও ভিডিও প্রায় সামাজিক মাধ্যমে আসে। কিন্তু বিদেশে থাকার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারসহ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আট মাসের মাথায় তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে।

এ অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মারফতে জানতে পারেন, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশ ছাড়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রের কাছে ডকুমেন্টারি কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত দেড় থেকে দু'শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশেই দেশের বাহিরে অবস্থান করছে বলে আমি শুনেছি। তবে রাষ্ট্রের কাছে প্রমাণিত না হওয়ায় ধরে নিবেন তারা দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে যে কোনও সময়ে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন।

এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বলেন,‘বিদেশে থাকার পরও কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বিষয়টি আমার নজরে পড়েনি। সেজন্য কখনও কারণও জানা হয়নি।’

তবে দুদকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কোনও ব্যক্তি বা আসামির বিরুদ্ধে যখন রাষ্ট্রীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। কারণ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত কোনও প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে, এমন কোনও প্রশ্ন যাতে না ওঠে। সেসব দিন বিবেচনা করেই দেশের বাইরে থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।'

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মসজিদে তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস, নেটিজেনদের ক্ষোভ
বিদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নিজামীপুত্র মোমেন, বাদ পড়লেন ডা. বাসেত
যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন
ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি