শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভোলায় আখচাষে সাবলম্বী কৃষক সাদেক রাড়ী

ভোলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে নিরিবিলি গ্রাম কন্দ্রকপুর। রবি শস্যের পাশাপাশি পতিত জমিগুলোতে ব্যাপকভাবে আখের চাষ হচ্ছে এখানে। বর্তমানে চাষিরা ব্যস্ত আখের রস দিয়ে গুড় তৈরিতে। গুড়ের সুবাসে মাতোয়ারা কন্দ্রকপুর গ্রাম।

আখের রস দিয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে সাদেক রাড়ীর তৈরি ভেজালমুক্ত গুড় কন্দ্রকপুর খুবই জনপ্রিয়। সাদেক রাড়ীর সঙ্গে এ কাজে সহযোগিতা করেন তার পরিবারের সদস্যরাও। এ ছাড়া তার সঙ্গে কাজ করেন কিছু কৃষি শ্রমিকও। ১০/১৫ দিন ধরে তারা আখের রস থেকে গুড় তৈরি করে বিক্রি করছেন।

গ্রামে প্রবেশের মূল রাস্তার থেকে দেড় কিলোমিটার মেঠো পথধরে যেতে হয় সাদেক মিয়ার আখ ক্ষেতে। ক্ষেতে আখ কাটছেন কৃষি শ্রমিকরা। কেউ বোঝা বেঁধে নিচ্ছেন, কেউবা সংগ্রহ করা আখ মেশিনে দিচ্ছেন। সেখান থেকে পাত্রে জমা হওয়া রস এসে বড় চুল্লির উপর রাখা ড্রামে জমা করছেন। দ্বিতীয় জন জমি থেকে সংগৃহিত আখের ছোবড়া ও শুকনো পাতা দিয়ে জমা হওয়া রসগুলো আগুনে জ্বাল দিচ্ছেন। আগুনের চুল্লির উপর ড্রামে রাখা রসগুলো দু-তিন ঘণ্টা আগুনে জাল দেওয়ার পর রসগুলো জমাট বেঁধে গুড়ে পরিণত হয়। অর্ধ তরল অবস্থায় রাখা রস ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে গুড়ে পরিণত হয়ে যায়।

কন্দ্রকপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় আখের গুড় তৈরি করার কারিগর সাদেক রাড়ীর সঙ্গে। তিনি জানান, তার সঙ্গে তাকে সহযোগিতায় আছেন স্ত্রী, ছেলে তছলিম, তাহের ও পুত্রবধূ।

গুড় তৈরির কারিগর তসলিম জানান, আখের রস সংগ্রহ করা একবারে সহজ তবে একটু পরিশ্রম বটে। তসলিম জানান প্রতি ড্রামে ৩০০ লিটার রস ধরে। এ রস জাল দিলে ৫০ কেজি গুড় তৈরি হয়। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। এটা একটা দেশীয় স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি। রস তৈরি করার জ্বালানি হিসেবে আখের ছোবড়া ও আখের শুকনো পাতা ব্যবহার করি। এখানে অন্য কোনো জ্বালানি খরচ লাগে না। সদ্য তৈরি হওয়া আখের গুড় বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা এসে কিনছেন। নির্ভেজাল ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে আধুনিক মেশিনে রস সংগ্রহ করে আমরা গুড় তৈরি করছি বলেই আমাদের গুড়ের চাহিদা বেশি।

পার্শ্ববর্তী বাজার এলাকার দুইজন যুবক শামিম ও রেদোয়ান তারা দুজন ৩ কেজি করে মোট ৬ কেজি গুড় কিনেছেন। তারা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে কীভাবে আখের রসে গুড় তৈরি হয় তা দেখেছি। একদম তরতাজা। স্বাদে ও মানে অনন্য। তাই আমরা দুজন তিন কেজি করে ৬ কেজি গুড় কিনেছি। বাড়িতে নিয়ে বাবা-মা, ভাই-বোনদের নিয়ে আখের গুড় দিয়ে পিঠা খাওয়া যাবে।

সাদেকের ছেলে তাহের বলেন, দৈনিক পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার গুড় বিক্রি করতে পারি। এতে বেশ ভালো মুনাফা হয়।

সাদেক রাড়ি বলেন, আমি এবছরও ২ একর জমিতে ঈশ্বরদী ৩৭ আখ চাষ করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আখ চাষে সব সহায়তা পেয়েছি। আখের গুড় তৈরির জন্য আখের রসদ সংগ্রহ করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেশিনসহ সব সরঞ্জাম দেয়। আমি আখ চাষ করে সফল হয়েছি। আগামী বছর আমি আরও বেশি পরিমাণ আখের চাষ করব।

রাজাপুর ইউনিয়ন এলাকার কৃষি উপসহকারী মো. মঞ্জুর আলম বলেন, এলাকায় এবছর ১০ একর জমিতে আখের চাষ হয়েছে তবে সব চাষি গুড় তৈরি করেন না। আখ চাষে আমরা কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি। সাদেক রাড়ী আমাদের একজন সফল আখ চাষি। আগামীতে কেউ আখ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও উন্নত জাতের আখের চারাসহ সব সহায়তা দেওয়া হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে এই রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ও ইউরোপের ওপর নতুন শুল্ক হুমকির কারণে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হুইস্কির ওপর ইউরোপের শুল্কের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যদি ইউরোপের শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

এর আগে ট্রাম্প সব ধরনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার (১২ মার্চ) জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন।

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)