বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

খড়ের বিনিময়ে জমির ধান কাটা-মাড়াই

প্রতি বছরই ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট ও বাড়তি মজুরির ভারে বিপাকে পড়েন কৃষক। তবে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধান কাটার নিয়ে শ্রমিক ও মজুরি সমস্যার সমাধান করেছে ফেলেছে উভয়পক্ষ। সেখানে জমির খড়ের বিনিময়ে ধান কাটাই-মাড়াই করে গৃহস্থের গোলায় ধান পৌঁছে দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার জন্য কৃষিশ্রমিকদের দিনমজুরি দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ২০ থেকে ২৫ জন কৃষিশ্রমিক দিনে এক একর জমির ধান কাটাই-মাড়াই করে কৃষকের গোলায় ধান তুলে দিতে পারেন। এতে কৃষকের ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এ ছাড়াও জমির কাঁচা খড় শুকিয়ে বাজারজাত করতে পরিবহনসহ বিভিন্ন খরচ লাগে। অন্যদিকে খড় ব্যবসায়ীরা নিজের লোকবল দিয়ে ধান কাটাই-মাড়াইসহ ধান কৃষকের গোলায় তুলে দিচ্ছেন। বিনিময়ে পাচ্ছেন জমির পুরো খড়।

উপজেলার এলুয়ারি, আলাদিপুর ও শিবনগর ইউনিয়নের আদর্শ কলেজপাড়া, গোপালপুর, দাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার উঁচু জমিতে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই গাছ কাঁচা থাকতেই ধান পাকতে শুরু করে। ফলে এসব খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

বুধবার সকালে সরেজমিনে, উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রামে একদল কৃষিশ্রমিককে আগাম জাতের ধান কাটতে দেখা যায়। কৃষিশ্রমিকরা জানান, ১২ হাজার একর চুক্তিতে ধান কাটাই-মাড়াইসহ গৃহস্থের বাড়িতে ধান পৌঁছে দিতে হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাগলপুর এলাবার খড় ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে এক একর জমির ধান কাটাই-মাড়াইসহ বাড়িতে ধান পৌঁছে দেওয়ারসহ অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ধান কাটছেন। বিনিময়ে তিনি জমির খড় পাবেন।

দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া বলেন, জমির খড় দেওয়ার বিনিময়ে এক একর জমির ধান কাটাই-মাড়াইয়ের চুক্তি দিয়েছেন খড় ব্যবসায়ীদের। এতে হাতে নগদ ৫ হাজার টাকাও পেয়েছেন খড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

কৃষক নূর আমিন বলেন, অন্য বছরগুলোতে এ সময় এক বোঝা (আঁটি) খড় প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় একই খড় বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি একর জমির ধানে প্রকারভেদে ২৭৫ থেকে ৩০০ বোঝা (আঁটি) খড় হয়। বর্তমানে খড়ের দাম কম হওয়ায় খড় ব্যবসায়ীদের খড়ের বিনিময়ে জমির ধান কাটাই-মাড়াইসহ বস্তাজাত করার চুক্তিতে দেওয়া লাভজনক। এতে নগদ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয় খড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ৫/৬ বছর ধরে খড়ের ব্যবসা করছেন পৌরশহরে। খড়ের বিনিময়ে কৃষকের ধান কাটাই-মাড়াইসহ বস্তাজাত করার চুক্তিতে ধান কেটে দিচ্ছেন। খড়ের বাজার দর অনুযায়ী প্রতি একরে নগদ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকাও দিতে হয়। খড় বাজারে গো খাদ্য হিসেবে বিক্রি করে যাবতীয় খরচ মিটিয়ে অন্তত ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ হয়। প্রথম দিকে কৃষকরা খড়ের বিনিময়ে ধান কাটাই-মাড়াইয়ে আগ্রহী না হলেও বর্তমানে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ

গ্রেপ্তার দম্পতি (ইনসটে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া)। ছবি: সংগৃহীত

নিজ বাসায় আশ্রয় দেওয়া নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার জন্যই খুন হয়েছেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। গ্রেপ্তারকৃতরা এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, টাকা-পয়সা রাখার ব্যাগ হারিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে অসহায় অবস্থায় পড়েন এক দম্পতি। তাদের বয়স ২৫-এর কম। তাদের অসহায়ত্ব দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। দুজনকে তার বাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান উত্তরখানের ভাড়া বাসায়। চাকরির কথা বলে নিলেও সাইফুর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল ওই নারীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর আচরণ’ করা।

সবশেষে গত রোববার রাতে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করলে তার স্বামী প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে সাইফুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান ওই দম্পতি। পরে ১১ মার্চ ফরিদপুর রেলষ্টেশন এলাকা থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন- মো. নাজিম হোসেন (২১) ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি (২৩)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি চাবির রিং ও একটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়। এর আগে নিহতের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি ধারালো চাকু ও রক্ত মাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত ১০ মার্চ রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার ছয়তলা ফ্ল্যাটে খুন হন। এ খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় ১১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে নিহতের ভাই উল্লেখ করেন, নিহত সাইফুর উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈত্রিক আড়াই শতক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য গত ৩-৪ মাস ধরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। যেখানে ঘটনাস্থল তার সামনেই এই জায়গাটি।

গ্রেপ্তার দম্পতিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে উত্তরার ডিসি মহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ২-৩ দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার মো. নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতির পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে সাইফুর তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন দম্পতিকে। একপর্যায়ে সাইফুর রহমান রুপাকে তার ফ্ল্যাটে আটকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের রাতে এক বেডে ছিলেন নিহত সাইফুর রহমান ও দম্পতি রুপ ও নাজিম।

তিনি আরও বলেন, সেই রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে সাইফুর রহমান রুপাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। একপর্যায়ে নাজিম ঘুম থেকে জেগে গেলে রান্নাঘর থেকে বটি এনে সাইফুর রহমানকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মৃতুবরণ করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত সাইফুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো বিরোধ ছিল কি না জানেত চাইলে উত্তরা বিভাগের ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, থাকতে পারে। তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে সে ধরনের কোনো তথ্য আমরা পায়নি।

মেয়েটিকে ধর্ষণচেষ্টার কারণে দম্পতি সাইফুর রহমানকে হত্যা করেছে মামলাটি কোন পর্যায়ে যাবে। এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, নিশ্চতভাবে এটি হত্যা মামলা। আদালতে মামলাটি যখন ট্রায়াল হবে তখন আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যে পরবর্তীতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Header Ad
Header Ad

বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা

ছবি: সংগৃহীত

এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এক একর জমিতে আলু চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। তবে বাজারদর অনুসারে তারা দেড় লাখ টাকাও উঠাতে পারছেন না। এতে প্রতি একরে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি কেজিতে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৭-৮ টাকা।

কৃষকরা জানাচ্ছেন, এবারে আলুবীজের তীব্র সংকট ছিল। বেশি দামে বীজ কিনতে হয়েছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি হিমাগারের খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হলেও আলুর দাম কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

কুড়িগ্রামের কৃষক আব্দুল করিম জানান, সাড়ে ছয় একর জমিতে আলু আবাদ করেছেন, কিন্তু লাভের বদলে কীভাবে লোকসান কমানো যায় তা নিয়েই চিন্তিত। ঠাকুরগাঁওয়ের চাষি আহসানুর রহমান হাবিবও জানালেন, প্রতি বিঘায় তার খরচ পড়েছে লাখ টাকার ওপরে, কিন্তু বিক্রি করে পাচ্ছেন গড়ে ৬৫ হাজার টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উৎপাদনের পর যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল এক কোটি চার লাখ ৩২ হাজার টন, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র ১.৬২ শতাংশ বেশি। তবে দাম কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

রপ্তানি বাজারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, যা ২০২২ সালে তুলে নেওয়া হলেও বর্তমানে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা সমস্যায় রয়েছেন।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে হিমাগারের ভাড়া প্রতি কেজিতে ছয় টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম জানিয়েছেন, আলুর ভালো ফলন হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি দাম কম থাকায় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্ব করতে ‘গোলমাল’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সারাদেশে নারী সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতার প্রতিবাদে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে। আন্দোলন সফল করেছে। কিন্তু নতুন দল (নাগরিক পার্টি) আবার একটি গোলমাল শুরু করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জনগণ বলা শুরু করেছে। তাই আমাদের দল বিএনপি এই সরকারকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে, সংস্কার অবশ্যই করবেন কিন্তু সংস্কারের নামে আবার আওয়ামী প্রেত্মাতারা সুযোগ বুঝে কোপ মারবে এটা থেকে বিরত থাকতে হলে আপনাকে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।

‘নতুন দল গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার একটা পরিকল্পনা এই সরকারের কাছে পেশ করেছে’ উল্লেখ করে সাবেক এই বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘‘ সরকারকে বলব, আমি গণপরিষদ বুঝি না, আমি বুঝি একটাই… আমার বিরুদ্ধে ৮৪টা মামলা ছিলো, ১৬ বছরে ৯ বছর জেলে ছিলাম, একজন রাজনৈতিক কর্মী স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে দাবি করতে চাই, গণপরিষদ নয়, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকংখা একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন।”

‘‘যেখানে মৃত ব্যক্তির ভোট নয়… বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মতো রশি টানিয়ে এমন একটি নির্বাচন উপহার দেন যেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনরত সকল দল অংশ গ্রহন করে সরকার গঠন করতে পারে এবং সংসদ গিয়ে যত সংস্কার আছে সব সংস্কার আলোচনা করে সমাধান করবে।”

তিনি বলেন, ‘‘এই মুহুর্তে সরকার বাংলাদেশে একটি নির্বাচন সেই নির্বাচন হবে আমার ভোট আমি দেবো, যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো। যাকে আমি পছন্দ করি তাকেই আমি ভোট দেবো। সেই ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য আপনাকে(মুহাম্মদ ইউনুস) মসনদের বসানো হয়েছে।”

‘‘তাই মানুষের দাবি, জনগনের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলো যারা আন্দোলন করেছিলো তারেক রহমানের নেতৃত্বে তাদের দাবি দ্রুত নির্বাচন দিন। আমরা অনুরোধ জানাব, এই ফ্যাসিস্টদের যদি বিচার করতে হয়, তাদের সকল অপকর্ম তুলে ধরতে হয় এই মুহুর্তে দরকার জনপ্রতিনিধির সরকার। আহ্বান জানান, আর বিলম্ব নয়, অনতিবিলম্বে মানুষের ভোটের নিশ্চিয়তা দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করুন।”

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় সমাবেশে তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির,কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, কাদের সিদ্দিকী, মমিনুর রহমান সুজন,গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি
৩ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আতিকুল-মহিবুল
আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর অনেক এলাকায়
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা যাবে না: হাইকোর্ট
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, দুবার বন্ধ হয়েছে হৃৎস্পন্দন
খাদ্য অধিদপ্তরে ১৭৯১ জনের বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদনের সুযোগ
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক
ট্রাকচাপায় কারখানা শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া  
বাংলাদেশ ফুটবল দলে হামজা ছাড়াও আরেক চমক ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহামিদুল
একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে: আযম খান
গুম, খুন, আয়নাঘরের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ : হাসনাত আব্দুল্লাহ  
ফিতরা হিসাব করবেন কিভাবে?    
স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখার ১০ উপায়  
জেমস লাইভ ইন ডালাস; যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন জেমস