গো খাদ্যের দাম কমানোর দাবি বিডিডিএফের
গো-খাদ্যের মূল্যহ্রাস এবং বিএসটিআই আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরী ডেভলপামেন্ট ফোরাম(বিডিডিএফ)। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে গো-খাদ্য আমদানিতে সকল শর্ত শিথিল করা এবং গো-খাদ্যের উপর ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিডিডিএফ। সংগঠনটির সাধারণ সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে রাজধানীর প্রাণ সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিডিডিএফ এর সাধারণ সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভা থেকে দাবি জানানো হয়, দেশের ডেইরি খাতকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে গো-খাদ্যের মূল্য এবং বিএসটিআই আইন পরবির্তন করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা এবং দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গো-খাদ্যেল বাজারমূল্য অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। এতে দেশের প্রায় ১০ লাখ ছোট-বড় প্রান্তিক খামার হুমকির মুখে পড়েছে। বিডিডিএফ এর সদস্য খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে বর্তমানে প্রতি কেজি দুধ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ টাকা। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
তা ছাড়া দুগ্ধ প্রতিক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের বিক্রয়মূল্য বাড়ালেও ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সেটি সমন্বয় করেনি।
বিডিডিএফ নেতারা বলেন, এই পরিস্থিতিতে খামারিদের মেধ্যে চরম হতাশা দেকা দিয়েছে। অনেক খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে খামার বন্ধ হলে দেশে কয়েক লাখ নারী-পুরুষ বেকার হয়ে পড়বেন।
সভায় বিএসটিআই কর্তৃক সদ্য পাস করা গুড়া দুধে পানি মিশিয়ে (রিকন্সিটিটিউশন) তা প্যাকেজিং এবং বাজারজাতকরণ আইনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, এই আইন দেশের ডেইরী খাতের স্বার্থ বিরোধী এবং এই খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এই আইন কার্যকর হলে দেশের খামারিরা এবং দুগ্ধ প্রতিক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিডিডিএফ নেতা উজমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মো. মুতাসীম বিল্লাহ, পারভীন সুলতানা, মুস্তাফিজুর রহমান, ড. জাহিদুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল হক, ডা. হারুন-অর-রশিদ, মো.ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এনএইচবি/এমএমএ/