শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভাসমান পেয়ারা হাট

দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা

'তেলের দাম বাড়তি, সবতার (সকল পণ্যের) দাম বাড়তি! মানে (মানুষ) পেয়ারা খাইবে কী দিয়া? ভাত খাইবে না পেয়ারা খাইবে? পেয়ারার দাম কম কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ী খোকন হালদার ভিমরুলীর ভাসমান পেয়ারা হাটে ট্রলারের উপর ভাসতে ভাসতে এমন কথা বলেছিলেন। যদি কম দামে পেয়ারা বাজারে বিক্রি না করেন তবে ক্রেতারা পেয়ারা কিনতে আগ্রহী হবে না তেমনটাই তার ভাবনা।

দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ভাসমান পেয়ারার হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। কিন্তু পেয়ারা চাষিরা পেয়ারার নায্য দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালনি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে পেয়ারা কিনতে নারাজ আড়তদার ও ব্যাপারীরা। তাই বাধ্য হয়েই চাষিরা লোকসান দিয়েই বিক্রি করছেন পেয়ারা।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ দেশে বিভিন্ন পণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব কৃষি খাতে পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

গত কয়েক বছরের থেকে সবচেয়ে কম দামে পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে এ বছর। এর কারণ হিসেবে অনেক চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, গত বছর পেয়ারার এক মণের দাম ছিল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা যা, এ বছর ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। দেশে বিভিন্ন পণ্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ায় অনেক ক্রেতারা পেয়ারা কিনছেন না। চাষিদের বক্তব্য- ‘পেয়ারা খাবে না, ভাত খাবে?’

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভিমরুলি, খাজুরা, ডুমুরিয়া ও বৈরামপুর গ্রাম এবং নবগ্রাম ইউনিয়নের জগদীশপুর, বৈহার, মীরকাঠি ও কাপড়কাঠি গ্রামেই মূলত পেয়ারার ফলন বেশি হয়। তবে পেয়ারার বড় হাট হয় প্রতিদিন ভিমরুলির খালেই। সদর উপজেলায় এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়েছে।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) ঝালকাঠি জেলার কীর্ত্তিপাশায় শতদশ কাঠি, ভিমরুলি ও ডুমিরিয়া পেয়ারার ভাসমান হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পেয়ারার জমজমাট বেচা-কেনা চলে। অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এই অঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকের ভিড় বাড়ে।

এসময় কথা হয় আড়তদার (পেয়ারা ব্যবসায়ী) রথিন হালদারের সঙ্গে। এসময় তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এবছর আমরা বেশি দামে পেয়ারা কিনতে পারছি না। দেশে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি। এ ছাড়া আবহওয়া খারাপ ছিল। রোদ বেশি হওয়ায় পেয়ারা আকারে ছোট হয়েছে। তাই বাজারে দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী পেয়ারা চাষিদের দাম দেওয়া হচ্ছে।’

খোকন হালদার নামে এক ব্যবসায়ী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘পেয়ারা চাষিরা সকালে গাছ থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে এই ভিমরুলী ভাসমান হাটে নিয়ে আসে। আর আমরা এখানে ট্রলার নিয়ে অপেক্ষা করি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। তবে এ বাজারে সব পেয়ারা পাইকারি বিক্রি হয়। খুচরা পেয়ারা পাওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাষিদের কাছ থেকে পেয়ারা ওজন দিয়ে কেনা হয়। আজকের বাজারে পেয়ারার মণ ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চলে। পেয়ারার আকার ও কাঁচা-পাকা নির্ধারণ করে দাম যাচাই করা হয়।

খুলনা থেকে আসা পেয়ারা ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা এই বাজার পেয়ারা কিনতে ট্রলার নিয়ে আসি। সেখানে বর্তমান বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এ ছাড়া ট্রলারে লোক আছে যাদের বেতন দিয়ে চালাতে হয়। আমার ট্রলারে সাতজন কর্মচারী আছে যাদের একজনের বেতন ৫০০ টাকা করে। দুই বেলার খাওয়া। এ ছাড়া সব মিলিয়ে আমার ট্রলারে প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা খরচ আছে। সব কিছু মিলিয়ে ব্যবসা নিয়ে ঘরে ওঠা বড় দায়। তাই চাষিদের ভালো দাম দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই পেয়ার নিয়ে আমরা আবার খুচরা খুচরা বিভিন্ন দোকানে বিক্রির জন্য দেব। তারাও এই দিয়ে ব্যবসা করবে। অন্যদিকে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে এখন পেয়ারা কিনতে চায় না। কারণ বাজারে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি।’

তবে এই বাজার দিয়ে ঢাকা, ফেনী, শরীয়তপুর, মাওয়া ঘাট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পাথরঘাটা, কুয়াকাটাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা যায় বলে জানান তিনি।

ভিরুলীর পেয়ারা চাষি তরুণ হালদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মুই এবার ২ বিঘা জমিত পেয়ারা চাষ করেছি। ফলন মোটা-মুটি পাইছি। কিন্তু বাজারে পেয়ারার ভালো দাম পাই না। এই দুই বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করতে খরচ হইছে ৩০ হাজার টাকার মতো। তয় এবার সব মিলাই ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হতে পারে।’ তবে এই দুই বিঘা জমির পেয়ারার ফলন আর দাম বেশি হতো তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি হতো বলে জানান তিনি।

প্রায় শত বছর পূর্বে ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশায় শতদশকাঠি, ভিমরুলি ও ডুমিরিয়া এবং পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর উপজেলার নেছারাবাদের (স্বরুপকারী) আটঘর ও কুড়িয়ানা গ্রাম জুড়ে গড়ে ওঠে পেয়ারা বাগান। মৌসুমের মাস জুড়ে ভাসমান এই পেয়ারার হাটে বেড়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। ক্রেতা বিক্রেতার ও পাইকারদের কোলাহলে এখন মুখর ভিমরুলির ভাসমান পেয়ারার হাট।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের