মেন্ডেলের ২শতম জন্মবার্ষিকী পালিত
লেখা : প্রতিনিধি শেকৃবি।
ঢাকার একমাত্র কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ ‘বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ব সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াড’ ‘মেন্ডেলিজম : ফাউন্ডেশন অব মডার্ণ বায়োলজি’ সেমিনার করেছে।
গ্রেগর জোহান মেন্ডেলের ২০০তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন শেরে বাংলা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ কোটি। বর্তমানে জনসংখ্যায় দ্বিগুণের বেশি হলেও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আবাদি জমির পরিমাণ কিন্তু কমছেই। এখানেই ‘মেন্ডেল তত্ব’র সফলতা।”
তিনি আরও বলেন, ‘একসময় পৃথিবীতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছিল বোরলগ। বাংলাদেশে উদ্যমী জেনেটিক্স নিয়ে কাজ করা গবেষকদের কল্যাণে কৃষিতে আমাদের এই অর্জন।"
আয়োজক কমিটির পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ব সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন উপাচার্য ও বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
আলোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. শাহ-ই-আলম, বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট)’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাখহরি সরকার এবং বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ব সমিতির সভাপতি ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেছেন অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
বক্তারা গ্রেগর যোহান মেন্ডেলের গবেষণা, শিক্ষার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আত্মীকরণের জন্য বিশদ আলোচনা করেছেন।
তারা তাকে আবিষ্কারের জন্যে শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
উল্লেখ্য : মেন্ডেল জন্মেছেন ১৮২২ সালের ২০ জুলাই, মারা গিয়েছেন ৬ জানুয়ারি ১৮৮৪ সালে। তিনি একাধারে একজন উদ্ভিদবিদ, আবহাওয়াবিদ, গনিতজ্ঞ ছিলেন। জন্মেছেন একটি জার্মান ভাষী পরিবারে, আজকের চেক প্রজাতন্ত্রে। মেন্ডেল আধুনিক জেনেটিকসের জনক। ১৮৫৬ থেকে ১৮৬৩ সালের তার গবেষণাগুলোর মাধ্যমে বংশগতির অনেক নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘আধুনিক উদ্ভিদ বংশগতিবিদ্যা’র জনকও তিনি।
ওএসফএস।