এআইপি সম্মাননা পেলেন ১৩ ব্যক্তি
কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’-২০২০ সম্মাননা পেয়েছেন ১৩ জন।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান করা হয়। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা প্রদান করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর দেশের কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানানোর জন্য এআইপি একটি মহৎ উদ্যোগ। কৃষকদের সম্মান জানানোর জন্য এটি একটি নতুন উদাহরণ। এআইপি সম্মাননা প্রবর্তন কৃষিখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এআইপি সম্মাননা দিয়ে আমরা কৃষকসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তদেরকে সম্মানিত করেছি, নিজেকে সম্মানিত করেছি এবং সেইসঙ্গে জাতিকেও সম্মানিত করেছি। আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই। এ সম্মাননা এক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
উল্লেখ্য, সরকার দেশে কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বছর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের জন্য ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালের সম্মাননা আজ প্রদান করা হলো। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে এআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত মোছা. নুরুন্নাহার বেগম অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘কৃষিকাজ করে এত বড় সম্মান পাওয়া যাবে আমরা কল্পনাও করিনি। আমাকে কেউ ১০ লাখ টাকা দেক, আমি তা চাই না। কিন্তু এ সম্মাননা অনেক বড় পাওয়া।
তিনি বলেন, ‘মাটিকে ঘুষ দেয়া লাগে না। মাটির সঙ্গে পরিশ্রম করলে, মাটি আমাদের সাথে কথা বলে। আমাদের মতো কৃষককে এত বড় সম্মাননা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এআইপি সম্মাননাপ্রাপ্ত বিছমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামারের মো. সামছুদ্দিন কালু বলেন, ‘মাছের ব্যবসা শুরু করার সময় চৌধুরী বংশের আমার এক বন্ধু মানসম্মানের ভয়ে ব্যবসায় আসেনি। আর আজকে আমার মতো একজন চাড়ালকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এআইপি সম্মানে ভূষিত করেছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এটি দেখে পুরো জাতি জাগ্রত হবে।’
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এআইপি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এনএইচবি/এমএমএ/