সেরা তিনকে বাছাই করলো এসএইউপিএস
লেখা ও ছবি : রাজিবুল ইসলাম, প্রতিনিধি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
গতকাল ২১ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ অন্ত: বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা’র বিজয়ীদের ঘোষণা করা হয়েছে।
‘সিলেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (এসএইউপিএস) বার্ষিক এই আয়োজনের তৃতীয় ও শেষ দিনে প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার প্রতি ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সিলেটের সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং আলোকচিত্রীদের ভালোবাসা দেখে দুই দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের মেয়াদ একটি দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, জানিয়েছেন অন্যতম আলোকচিত্রী ও প্রতিযোগিতার নেপথ্য নায়কদের একজন রাজিবুল ইসলাম।
ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন সেরা তিন আলোচকচিত্রী দুজনই মেয়ে। এটি অভিনব ঘটনা। মেয়ে আলোকচিত্রীদের জন্য আলোর বার্তা।
প্রথম হয়েছেন- জাকিয়া ফাতেমা বিথী, দ্বিতীয়-মালিহা মুবাশ্বিরা ও তৃতীয় তামজিদ আহমেদ মাশুক।
জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন অলোকচিত্রী রাফায়েত হক খান।
সমাপনী আয়োজনের প্রধান অতিথি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত কৃষি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেছেন, ‘আমাদের ফটোগ্রফিক সোসাইটির ছাত্র-শিক্ষকের এমন আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসার। তোমাদের যেকোনো ধরণের সাহায্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে থাকবে।’
সমাপনীতে সিলেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আকাশ রায় উপস্থাপক ছিলেন।
সভাপতি গোলাম কিবরিয়া রব্বানী সভাপতিত্ব করেছেন।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কীর্তিমান অধ্যাপকরা- ড. মোস্তফা সামছুজ্জামান, ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, ড. মুহাম্মদ রাশেদ-আল-মামুন, ড. জসীম উদ্দীন, ড. মো. আলমগীর হোসেন, ড. তরিকুল ইসলাম, ড. মো. মাহফুজুর রব। ছিলেন বিখ্যাত কৃষিবিদ ড. ফখর উদ্দীন, ফয়েজ আহমেদ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শুরু হওয়া আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতাটি সবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দেখার সুযোগ ছিল।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট এবং অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন এসএইউপিএসের কর্মীরা।
ওএস।