রঙিন মাছ চাষে ভাগ্য বদল বিপ্লবের
বাড়ির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় রঙিন মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জিরাই গ্রামের আসাদুজ্জামান বিপ্লব। কোনো রকম প্রতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই সৌখিন রঙিন মাছ চাষ করে একদিকে যেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা পেয়েছেন, অন্যদিকে নিজের ও আশপাশের অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন তিনি।
কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই বাড়ির পাশের অব্যবহৃত জায়গায় রঙিন মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষি বিপ্লব। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮টি হাউজে এ মাছ চাষ করেছেন প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা ব্যায় করে। এখন প্রতি মাসে তার আয় ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।
নিজেই মা মাছ লালন-পালন ডিম ও পোনা উৎপাদন করেছেন। উৎপাদিত লাল, কালো, সাদা প্রভৃতি রঙের পোনা মাছ বড় করে দেশের বিভিন্ন শহরের বড় বড় মার্কেটে অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী ও সৌখিন মানুষের কাছে বিক্রি করছেন। এতে এক দিকে যেমন নিজে আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন অন্যদিকে অনেক বেকার যুবকের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
তার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বেকার যুবক রঙিন মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক উৎসাহী মানুষ আসেন তার এই রঙিন মাছের খামার দেখতে। অনেকেই ঘরের শোভা বাড়াতে রঙিন মাছ কিনে নিয়ে যান। আবার অনেকেই নিজের বেকার জীবনের ইতি টানতে নিজে খামারি হতে চান। নানা রকম পরামর্শ নিচ্ছেন সফল রঙিন মাছের খামারি আসাদুজ্জামান বিপ্লবের কাছে। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে তিনি তার খামারে দর্শনার্থীদের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
তার এই রঙিন মাছের খামার গড়ার পেছনের কারণ হিসেবে আসাদুজ্জামান বিপ্লব জানান, ভারতের পশ্চিম বঙ্গে বেড়াতে গিয়ে প্রথম একমন একটি রঙিন মাছের খামার দেখে তিনি এ মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হন। বাড়িতে ফিরে প্রথমে ছোট পরিসরে রঙিন মাছ চাষ শুরু করলেও এখন তিনি ৩২টি হাউজে মাছ চাষ করছেন।
তবে রঙিন মাছের চাষ বৃহৎ পরিসরে করার জন্য অনেকবার বিভিন্নভাবে ঋণ বা আর্থিক সহায়তা লাভের চেষ্ট করেও কোনো সহায়তা পাননি তিনি। বহুবার তিনি বিভিন্ন ব্যাংকের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন কিন্তু ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান তাকে আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখায়নি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন এ বিষয়ে তাকে তথ্যগত সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এসএন