চলছে শেরে বাংলা এএসভিএমের ১০ বিভাগের ইন্টার্ন
লেখা ও ছবি : রবিউল রাকিব, প্রতিনিধি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকার একমাত্র কৃষি শিক্ষা ও গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের অধীনে মোট ১০টি বিভাগ আছে।
বিভাগগুলো হলো-‘ডিপার্টমেন্ট অব অ্যানিমেল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব অ্যানিমেল প্রডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব অ্যানাটমি, হিস্টোলজি অ্যান্ড সাইকোলজি’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব পোল্ট্রি সায়েন্স’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডেইরি সায়েন্স’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব প্যাথোলজি’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিওকলজি’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব সার্জারি অ্যান্ড থিওজেনলজি’।
তাদের সব বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র, ছাত্রীদের অনার্সের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র, ছাত্রীদের শেষ ছয়মাসের হাতে-কলমে শিক্ষা বা ইন্টার্নশিপ প্রগ্রাম শুরু হয়েছে।
টানা ছয় মাসে তারা বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, এসিআই, কাজী ফার্মস, নীলসাগর গ্রুপসহ নানা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক ও শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে কাজ করবেন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ডিনস কনফারেন্স রুমে এসভিএম অনুষদের ইন্টার্নশিপের শুভ উদ্বোধন ও ছাত্র, ছাত্রীদের হাতে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ঠিকানা, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়সম্বলিত পত্রগুলো প্রদান করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
সভাপতি ছিলেন এএসভিএমের ডিন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ।
উপস্থিত হয়েছেন বাকি তিনটি অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালক ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন স্টাডিজের চেয়ারম্যান।
অতিথি হিসেবে এসেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত রেনেটা ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রেনেটা অ্যানিমেল হেলথের প্রতিনিধি।
শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের বিস্তারিত আলোচনা করেছেন কো-অডিনেটর এবং ডিপাটমেন্ট অব অ্যানিমেল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং’ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোফাচ্ছ্বেরা আক্তার।
উপস্থাপনা করেছেন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক এনায়েত কবির ও ফাল্গুনী দাদক।
ছিলেন ১০টি বিভাগের বিপুল পরিমাণ শিক্ষক ও ইর্ন্টানে যাওয়া প্রচুর ছাত্র, ছাত্রী।
উপাচার্য আশা প্রকাশ করেছেন, ‘শিক্ষানবিশী কাল যেহেতু মাঠে কাজের সুযোগ, ফলে কাজে লাগিয়ে তোমরা প্রত্যেকে প্রাণীসম্পদের সবগুলো খাতে নিজেদের দক্ষ যোগ্য ও চিকিৎসক হিসেবে সবার সেরা করে কাজের ভুবনে গড়ে তুলবে বলে আমরা আশা করি। এই চার বছরের লেখাপড়া কাজে লাগানো ও নিজেদের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য ছাত্র হিসেবে প্রমাণের এই হলো সুবর্ণ সুযোগ। কোনো ধরণের শিথিলতা নয়, নিজেদের ভবিষ্যত কর্মজীবন ও প্রতিষ্ঠানে প্রমাণের এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর পাবে না। এভাবেই দেশের প্রাণীসম্পদ খাতের তোমরা ভবিষ্যতের কান্ডারী হবে।’
ইর্ন্টানে যাওয়া ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে জাকিয়া সুলতানা প্রীতি ও আরজু আহমেদ বক্তব্য দিয়েছেন।
ওএস।