আজ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর
লেখা ও ছবি : এ.এইচ.এম. মোস্তফা কামাল, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের ১৭তম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা, সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ১৫ জুলাই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে আছে এই শিক্ষা, গবেষণার উচ্চতম প্রতিষ্ঠানটি।
সে বছরই একটি অনুষদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলেন তারা।
আজ তাদের ২২ বছর।
বিপুল ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা গড়ে তুলেছেন তারা।
এখন আছে মোট চারটি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউট। সেগুলোর অধীনে আছে মোট ২৫টি বিভাগ। ১০টি বিভাগ পিএইচডি প্রদান করে।
আজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও বিশেষায়িত এই উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর পূর্তি হলো বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা এ. এইচ. এম. মোস্তফা কামাল।
ইদের মধ্যে, শুক্রবারের সপ্তাহের ছুটির দিনে তারা পালন করছেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান ভূঁইয়া।
সকাল সাড়ে ৮ টার এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন অনেক অধ্যাপক, ছাত্র, ছাত্রী, গবেষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এরপর তারা যার নামে প্রতিষ্ঠিত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আন্দোলনের অন্যতম সূত্রধর এবং অভিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং তার সুযোগ্য ছাত্র ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিতে ফুল এবং ভিসি স্যারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবাষিকীর র্যালি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে শেষ করেন প্রশাসনিক ভবনের সামনে।
সেখানেই শুরু হয় দিবসের আলোচনা।
প্রধান অতিথি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, ‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাদাত উল্ল্যা, এরপরের সব উপাচার্য, অধ্যাপক, গবেষক, আমাদের ছাত্র, ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সকলের অবদানে আজকে বাংলাদেশের গৌরব বাড়িয়ে তুলছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমান্বয়ে। আমাদের নামকরা রাজনীতিবিদ সাবেক ছাত্র কৃষিবিদ আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। আমরা আপনাদের সবার সাহায্যে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। সফল ছাত্র, ছাত্রীদের প্রতি শিক্ষক হিসেবে আমাদের শুভেচ্ছা।’
এরপর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, গবেষণা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, আইকিউএসি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান খান, ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, অনুষদগুলোর ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, বিভাগগুলোর বিভাগীয় প্রধান, হলগুলোর প্রভোস্ট, অধ্যাপকরা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ছাত্র, ছাত্রীরা।
ওএস।