৭ রোভারের ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড
লেখা ও ছবি : রাকিবুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
মানবকল্যাণে আত্মনিবেদনমুখী কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্কাউটস'র ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট দলের ৭ কৃতি ও সেরা রোভার। তারা সবাই স্কাউটিংয়ে যেকোনো দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ পদকটি জয় করেছেন দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে।
তাদের জাতীয় সদর দপ্তর অ্যাওয়ার্ডটি ‘অগ্নিনির্বাপণ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাম, আপদকালীন উদ্ধার, ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণ ইত্যাদি সকল মানবদরদী কাজে সাহসী ও গৌরবময় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করেছে।
‘ন্যাশনাল সাভিস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ছাত্র, ছাত্রী স্কাউটরা হলেন- গ্রুপ লিডার ও সিনিয়র রোভার স্কাউট মো. মিলন হোসেন, মাহফুজা আক্তার মিষ্টি, অঞ্জন মল্লিক, জিসান মোস্তাসিন, মো. রনি হাসান, ইবনুল ফাইয়াজ ও মো. রায়হান উদ্দিন।
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট টিমের গ্রুপ লিডার মো. মিলন হোসেন সবার এই দারুণ সংবাদটি জানিয়ে বলেছেন, ‘পড়ালেখা, খেলাধুলা, মানবসেবা ইত্যিাদি যেকোনো ভালো কাজের স্বীকৃতি সবসময় সবার আগ্রহ ও উদ্দীপনাগুলোকে বাড়িয়ে দেয়।’
তিনি নিজের কথা বলেছেন, ‘আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। এই অ্যাওয়ার্ড লাভের অর্জন আমি ধরে রাখব। ভবিষ্যতে আরো বেশি সামাজ উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করব।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘প্রেসিডেন্ট-স্কাউট-অ্যাওয়ার্ড’ জয় করেছি আমি। এবার দলগতভাবে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছি।’
দলনেতা বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা সব রোভারের মধ্যে অর্জনগুলো আরো অনেক বেশি উৎসাহ তৈরি করবে।’
২৭ জুন সোমবার বাংলাদেশ স্কাউটসের ন্যাশনাল কাউন্সিলের সুবর্ণ জয়ন্তী মানে ৫০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়াড’র জন্য মনোনীতদের নাম তালিকা তৈরি ও ঘোষণা করা হয়।
ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের পর ‘নাম্বার টু-দি ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’, এরপর স্কাউটিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্ট-স্কাউট-অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয় সবচেয়ে কৃতি স্কাউটকে।
বাম থেকে ছবিতে-মিলন, মিষ্টি, অঞ্জন, জিসান, রনি, ইবনুল ও রায়হান।
ওএস।