পদ্মা সেতুতে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ র্যালি
লেখা ও ছবি : রবিউল ইসলাম রাকিব, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের কৃষি ও মাৎস্যভিত্তিক জীবনধারা ও মান বদলে দেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এজন্য বাংলাদেশের কৃষিখাতের মানুষরা শেখ হাসিনাকে ‘কৃষকরত্ন’ উপাধি দিয়েছেন। তিনি নিজে এই সেতু পেরিয়ে ও টোল প্রদান করে বাংলাদেশের মানুষের টাকায় গড়া বিরাট পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে যখন পদ্মা সেতুর কাজে ব্যস্ত, তখন ঢাকার একমাত্র কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র, ছাত্রীরা আনন্দ র্যালিতে।
২৫ জুন সকাল সাড়ে আটটায় অ্যাকাডেমিক ভবন বা কৃষি অনুষদ ভবনের সামনে থেকে তাদের আনন্দযজ্ঞ শুরু হলো। একে, একে সবগুলো প্রধান সড়ক, হল পেরিয়ে শেষ হলো প্রশাসনিক ভবনের সামনে। তখনই সবাইকে অধ্যাপকরা মিষ্টি খাওয়ালেন।
র্যালিতে অংশ নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান ভূঁইয়া, ছাত্র, পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম. মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
এরপর আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতু একটি অনন্য মাইল ফলক। স্বাধীনতার পর আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। শুধুমাত্র একটি স্থাপনা নয়, পদ্মা আমাদের সক্ষমতা ও অহংকারের প্রতীক। তার ওপর সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টা, সব বুদ্ধিজীবি, পরামর্শ প্রতিষ্ঠান, সারা দেশের মানুষের অংশগ্রহণ বাস্তব রূপ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে।’
প্রসঙ্গক্রমে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ লাভ করেছেন। এখন আর এমন কোনো খাত অবশিষ্ট নেই, যেখানে তার কাজের স্পর্শ লাগেনি, পরিকল্পনা বাকি নেই। আগামী দিনের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে কাজ করে যেতে হবে।’
এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য গণ্যমাণ্যের মধ্যে ছিলেন-শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুণ-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, পোস্ট-গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া আসাদ, ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, আইকিউএসি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান খান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. শারমিন চৌধুরীসহ সব হলের প্রভোস্ট, প্রায় সব বিভাগের অধ্যাপক, বিপুল ছাত্র, ছাত্রীরা।
ওএস।