প্রতিটি কাজে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে : ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার
লেখা ও ছবি : রাজিবুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কৃষি শিক্ষা ও উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’র ২০২২-’২৩ শিক্ষাবষের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূণ সভাটি ২৯ মে, রবিবার মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ভালো আলোকচিত্রী রাজিবুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বার্ষিক কর্মসম্পাদন সমন্বয় সভা ও চুক্তি সম্পাদন সম্পর্কিত বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।’
‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের ডিন, হলগুলোর প্রভোস্ট, নামকরা অধ্যাপকরা সহ প্রায় কর্তাব্যক্তিরা সভায় অংশগ্রহণ ও নিজ, নিজ কাজ করেছেন।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘অন্যান্যের মধ্যে ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, রেজিস্ট্রার স্যার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।’
প্রিয় সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ‘যেকোনো শিক্ষাবর্ষের শুরুতে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে ফেলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদনগুলো করতে হবে। এরপর আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিতে হবে।’
প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার এরপর জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি পত্র, পাবলিসিটি, পাবলিকেশন্স, প্রতিটি সভা সময়মতো ওয়েবসাইটে তুলতে হবে।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার বলেছেন, ‘প্রতিটি বিভাগের ক্লাস রুটিন, শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সব ধরণের প্রশিক্ষণ কাজে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে এবং সময়মতো সম্পাদন করতে হবে।’
তিনি দু:খ করেছেন, ‘আমাদের কর্তাব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি নানা বিষয়ে প্রয়োজন বোধে আমাদের যেসব চিঠি প্রদান করেন, তারা যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তারা আরো বেগবান হবেন বলে আমি আশা করি।’
পরিশেষে বাংলাদেশের কৃষি, মাৎস্য ও সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর এই বরেণ্য ও কৃতি ব্যক্তিত্ব বলেছেন, ‘কাউকে দোষারোপ করে নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের এবং ইউজিসির এবং অন্যান্য কর্মসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে কাজে সমন্বয় করতে সবার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করতে হবে।’
‘এটি বছরভরও চলবে’, বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এরপর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন, ‘স্বচ্ছতার জন্য সরকার বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক কমম্পাদন সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন সমন্বয় প্রক্রিয়া প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন। তারা আমাদের এই কাজগুলো করতে অনুরোধ করেছেন।’
তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার খুশি হয়ে বলেছেন, ‘আমরা তো ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই কাজ করে চলেছি।’
ওএস।