মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মাড়াই করা ধানও শুকাতে পারছেন না হাওরের কৃষকেরা

হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার লাখও মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন বোরো ধান। বোরো ফসল দিয়েই সারা বছরের স্বপ্ন বুনেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা। এবার ফসলও ভালো হয়েছিল বেশ। কিন্তু প্রথম দফায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরের বাধ ভেঙে তলিয়ে ধান যায়। গত ৩০ মার্চ মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকার কারণে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার নজরখালী বাঁধ ভেঙে টাঙ্গুয়ার হাওরের ফসল ডুবে যাওয়াসহ একের পর এক ছোট-বড় কয়েকটি হাওরের ফসলহানি ঘটেছে। বাঁধ ভেঙে সর্বনাশ হয়েছে ২৩ হাজার কৃষক পরিবারের।

প্রথমে হাওর জুড়ে পানি, তাড়াহুড়া করেই কাঁচা ও আধা-পাকা ধান কেটে ঘরে তুলেন কৃষকরা। পরে আবারও শুরু হয় ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল। টানা বৃষ্টিপাতে রোদের দেখা না পাওয়ায় মাড়াই করা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েন হাওর এলাকার কৃষকরা। ভেজা ধান শুকাতে না পারায় ধানে চারা গজানোর কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাজারো কৃষক।

তাহিরপুর উপজেলার মনসুর আলম এবার ৩০ বিঘা জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। ফলন বাম্পার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ধান কেটে মাড়াই দিয়েও বিপাকে পড়েছেন তিনি। শুকাতে না পারায় তার ১০০ মণ ভেজা ধানে গজিয়ে গেছে চারা। ধান শুকাতে না পারায় এভাবে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক টন ধানে চারা গাজানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক কৃষক। যদিও ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে। কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

শুধু তাই নয় এরই মধ্যে আরও বড় বিপত্তিতে পড়েছেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জে গত কিছুদিন থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওর ও নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রবেশ করছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে। আর সেখানেই বিপত্তিতে পড়েছেন হাওরের মানুষ। ঢলের পানিতে ভেসে গেছে হাওরের উঁচু এলাকার মাড়াই করা ধানও। এ ছাড়া বন্যার পানির কারণে খড় পচন ধরায় গবাদিপশুর খাবার নিয়েও শঙ্কায় তারা।

সরজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরের মধ্যে ডুকে পড়েছে পানি। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চল হওয়ায় কাঁচা রাস্তা পানিতে ভেসে গিয়েছে। তাই এখন যোগাযোগের মাধ্যম হয়েছে নৌকা আর সেই নৌকা করে ধান নিয়ে রাস্তায় রোদে শুকাচ্ছেন তারা। ধানে চারা গজানোর ফলে এসব ধান থেকে চাল পাওয়া যাবে না বলে জানান কৃষকরা। কেউ কেউ উপায় না পেয়ে নৌকায় ধান ভিজিয়ে রেখে দিয়েছেন। বৃষ্টি থামলেই ধান সড়কে মেলে দিচ্ছেন আবার বৃষ্টি শুরু হলে তাড়াহুড়ো করে ঘরে ধান তুলছেন। তবুও বাঁচাতে পারছেন না স্বপ্নের সোনালী ধান। অন্যদিকে যাদের ধান আর ঘর দুটোই পানিতে গিয়েছে তারা পড়েছেন মহা বিপদে। কী করবেন সামনের দিনগুলিতে সেটি নিয়েই বেশি চিন্তিত হাওর এলাকার মানুষ।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর এলাকা বাসিন্দা আরমান আলী বলেন, ‘১০ কেয়ার জমিত ধান চাষ করছিলাম, সব নিছে পানি, মাত্র দুই কেয়ার তুলতে পারছিলাম।এখন ধানগুলাও ভেজা, তিন দিন ধরি ধানগুলা পানিত ভিজেছে কিছু করার ছিল না। আজকে রোদ উঠেছে তাই রাস্তার নিয়ে শুকাচ্ছি। এই ধান বেচতাম কিলান আর বেচলে এই টাকা দিয়া আমার সংসার কয়দিনইবা চলব।’

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ধানের দাম সরকার ঠিক করিয়া দিলেও আমরা এই দামে ধান দিতে পারি না আর যে দামে ধান দেই এই দামে ১ মাস ভালা করি খাওয়া যাইত না।’

হাওরপাড়ের আরেকজন তাজউদ্দিন বলেন, ‘আমরার ধানটা বৈশাখ মাসের ধান কিন্তু পাকা ধান মাঠ আছিন, এক রাইতের মেঘে (বৃষ্টি) পাকা ধান সব নষ্ট করি দিসে। মন মেজাজ খুব খারাপ ভাই এখন। আমরা নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের এতো দুঃখ দেখব টা কে? গরিবের কেউ নাই।’

ছাতক উপজেলার আব্দুল ছাত্তার বলেন, বন্যায় আমাদের শুকনা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তা আর কোনোভাবেই কাজে লাগানো যাবে না। আর সঙ্গে আমার গরুর খাবার খড়ও নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে কোরবানির ঈদ গরুরে কী খাওয়াব, আর কীভাবে বিক্রি করব। হাওরেও পানি, খাবার তো কোথাও নেই। ঘরে ১৪টা গরু আছে তাদের খাবার নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।

বাজারে পণ্যের দামে দিশেহারা হাওরের ক্ষতিগ্রস্তরা, একে ধানে ক্ষতি অন্যদিকে হাওরে পানি আবার বাজারে পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন তারা। চাল ঘরে থাকলেও তেল, নুন আর সবজির কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা।

আব্দুল সামাদ নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমার ধান করার জমি নাই। মানুষের লগে ধান কাটিয়া কিছু ধান পাইছলাম ইকান থাকি চাল পাইছি কিন্তু খালি চাল দিয়া কিতা করতাম। তেল নুন সবজিওতো লাগে। তেলের দাম ২০০ টাকা ইটা গরিব মারার নতুন ফন্দি। বাজারে যাইতে ভয় লাগে এর মাঝে পানি আইছে ছোট ছেলেটায় জাল নিয়া গেছে হাওর মাছ মারতো হে, মাছ আনলে তো গিয়া ভাত খাইতাম।’

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঢলের কারণে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পুরোপুরি নিরুপণ হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বৃষ্টিতে হাওরে পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আজকে পর্যন্ত ৬৫০ হেক্টর জমির পাকা ধান নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জেলার বেশিরভাগ জায়গায় পানি থাকায় কৃষকরা পাকা মাড়াই ধানগুলোও শুকাতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, সব নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। যদি পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে পানি আরও বাড়তে পারে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে। বন্যার্ত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা হিসেবে জেলায় ৩০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বন্যাকবলিকতদের মাঝে ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা