শুরু হলো মাছের পরজীবীবিদ্যা নিয়ে সাত দিনের গবেষণা কর্মশালা
লেখা ও ছবি : ইফতেখার আহমেদ ফাগুন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ‘মাছের পরজীবীবিদ্যা (ফিশ প্যারাসাইটোলজি)' নিয়ে গবেষণামূলক কর্মশালা শুরু হয়েছে।
১৪ মে ২০২২, শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় মাছের পরজীবিবিদ্যা নিয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি আরম্ভ হয়েছে।
টানা সাতদিনের এই বিরাট উদ্যোগ শেষ হবে ২১ মে।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদ প্রদান করা হবে, জানিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ও বাংলাদেশ প্যারসাইট রিসোর্স ব্যাংক যৌথভাবে এই গবেষণা কর্মশালার আয়োজন করেছে।
প্রধান দুই বক্তা হিসেবে অংশ নিচ্ছেন ইন্টারন্যাশনাল প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের উপ-পরিচালক ও নামকরা দক্ষিণ কোরিয়ান অধ্যাপক ড. ডং মিন লি এবং চুনবুক ন্যাশনাল ইউসিভার্সিটির আরেক কোরিয়ান অধ্যাপক ড. ইয়ে সিউল কাং।
প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড।
সঞ্চালনা করছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তিলক চন্দ্র নাথ।
এর মধ্যে গবেষণামূলক আলোচনা করেছেন মাৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও অধ্যাপক ড. এম.এম. মাহবুব আলম।
মাছের শরীরের পরজীবি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষনামূলক কর্মশালাতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিভাগগুলো উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইফতেখার আহমেদ ফাগুন।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘কর্মশালাটিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মোট ছয়টি বিভাগের ছাত্র, ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন। মাৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনাস ও মাস্টাসের প্রায় সব ছাত্র, ছাত্রী; শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করছেন।’
‘মাছের পরজীবি নিয়ে আমাদের দেশে তেমন কোনো পড়ালেখা ও গবেষণা এর আগে সম্পন্ন হয়নি। তবে এখন মাৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ, মাছের ওপর মানব প্রজাতির অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ও মাছের অপরিহার্যতা এবং দুস্প্রাপ্যতা আছে বলে সারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকরা কাজ ও গবেষণা শুরু করেছেন।’
‘এই গবেষণা কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ও মাছের পরজীবিবিদ্যার গবেষণা কার্যক্রমের শুরু হচ্ছে।’
মাৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন তার ছাত্র ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘আমাদের এই কর্মশালা ও গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে মাছের পরজীবিগুলোকে সনাক্ত, তাদের রোধ, মাছের স্বাস্থ্যগত উন্নতি ঘটবে বাংলাদেশে। জেলে, খামারি, গবেষক, শিক্ষক ও ছাত্রদের অনেক সন্দেহ এবং ভুলের অবসান ঘটবে।’
‘এর মধ্যেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গবেষণাগারগুলোতে, প্রধানত আমাদের মাৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের গবেষণাগারে কানি পাবদা, কুঁচিয়া, গুছি পাইম, তারা বাইমসহ দেশী প্রজাতির নানা ধরণের মাছের পরজীবি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে পাশে পেয়ে আমরা বিশ্বমানের কাজ করতে পারবো।’
ওএস।