কৃষকের নবান্ন এলো শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে
লেখা ও ছবি : রবিউল ইসলাম রাকিব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের প্রকোপ পুরোপুরি যায়নি। ক্যাম্পাস খুললেও বড় করে বাংলার কৃষকের উৎসব পহেলা বৈশাখ আয়োজন করতে পারেনি ঢাকার একমাত্র কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’।
ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১০টায় ১৪ এপ্রিল স্বাধীনতা চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখের শুভ উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। এরপর তিনি আনন্দ শোভাযাত্রা বা র্যালি নিয়ে বেরিয়েছেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সড়ক, অনুষদের ভবন, ছাত্র, ছাত্রীদের হল ও শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলো ঘুরে আবার স্বাধীনতা চত্বরে এসে শেষ হয়েছে সবার আনন্দ আয়োজন।
এরপর বাঙালির, কৃষকের নবান্নের আলোচনা সভা করেছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়। উপস্থাপক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন উপাচার্য স্যার ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এই সময় ভিসি স্যার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর বলেছেন, ‘এই নববর্ষ বাংলার কৃষকের প্রাণের উৎসব। নতুন ধান ঘরে তুলে নতুন বছর শুরু করার দিন, তার ভালোবাসার ক্ষণ। তবে এই উৎসব বাংলার মানুষের সার্বজনীন। আমাদের সব মানুষের মেলবন্ধন যেমন কৃষকের ধান খেয়ে হয়, তেমনিভাবে এই উৎসব বাংলাদেশে বাস করা প্রতিটি ধমের মানুষের জীবনের উৎসব হয়। আমাদের চিরায়ত আবাহনে এবারও আমরা সবাই নতুন করে জেগে উঠলাম। বাঙালি ধমনিরপেক্ষভাবে এই উৎসব পালন করে। আমরাও আমাদের সব ছাত্র, ছাত্রীকে কৃষকের, চাষীর, মৎস্যজীবির পাশে থাকার শিক্ষা দেই। আমাদের কৃষকের আজকের এই আনন্দ উৎসবে আপনাদের সবার জীবনে আনন্দবার্তা বয়ে আসুক এবং দুঃখ বেদনাগুলো দূর হয়ে যাক আমি এই কামনা করি।’
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবান্ন উৎসবে অংশ নিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুণ-উর-রশিদ; ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এম. সাহাবুদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও কার্য পরিচালনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, আইসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন, খামার তত্বাবধায়ক আল শামসুল হক প্রমুখ।
ওএস।