মাৎস্যবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘ফিশারিজ কার্নিভাল’ শুরু
লেখা ও ছবি : ইফতেখার আহমেদ ফাগুন
বাংলাদেশের অন্যতম কৃষিভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা মহাবিদ্যালয় সিলেটের ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির আয়াজনে আজ থেকে দুই দিনের ‘ফিশারিজ কার্নিভাল’ শুরু হয়েছে।
এটিই এই অনুষদের সবচেয়ে বড় হাতে-কলমে অনুষ্ঠান।
দুপুর ১২টায় কার্নিভালটি বর্ণিল শোভাযাত্রার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। তাতে অংশ নিয়েছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সবগুলো বিভাগের প্রায় সব অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
তারা নানা ধরণের মাছের, মাছ ধরার সরঞ্জামের ও সংশ্লিষ্ট ফেস্টুন, বিরাট অবয়ব নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান গেট থেকে অনুষদের সামনে এসে থামেন।
তারপর ছোট আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাৎস্যবিজ্ঞানের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু, ‘ফিশারিজ কার্নিভাল-২০২২’র আহবায়ক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. সোহেল মিয়া, ছাত্র, পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান, মাৎসবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া সুমন এবং সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান শ্রাবণ।
আলোচনায় নিয়মিত এই আনন্দযাত্রা করা হলেও করোনাভাইরাসের আক্রমণে ‘কোভিড ১৯’ মহামারি রোগের প্রার্দুভাবে গেল দুই বছর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় করা যায়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরও নতুন ক্যাম্পাসে তাদের অনুষদের সব শিক্ষক-শিক্ষাথী-কর্মকর্তা-কমচারীকে নিয়ে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আয়োজন ফিশারিজ কার্নিভালটি আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
আগেরবারগুলোর মতো এই অনুষদের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসবটি সফল করতে তারা আশাবাদী।
কাল শুক্রবার, ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে কার্নিভালের দ্বিতীয় পর্বের শেষ আয়োজন জমজমাট সাংস্কৃতিক উৎসব হবে।
তারা মাছ, বাঙালির চিরায়ত জীবন নিয়ে নাচ, গান, লোকগান, লোকনৃত্য পরিবেশন করবেন। থাকবেন তাতে মোট ১শর বেশি অনুষদেরই ছাত্র, ছাত্রী।
সারা বিশ্ববিদ্যালয় এখন এই কার্নিভালের দিকে চেয়ে আছে, তাদের সবগুলো আয়োজনের দর্শক হয়েছে। তারাও এই কার্নিভালের অংশ পড়ালেখা ও গবেষণা করেন বলে। শিক্ষকরা আছেন তাদের সঙ্গে সবাই।
ওএস।