‘খাদ্যের মানোন্নয়ন নিয়ে ভাবছি’-সিকৃবিতে পরিকল্পনামন্ত্রী
লেখা ও ছবি : রাজিবুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। পুরো অবদান বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষক ভাইদের। তেমরা সবাই জানো, আগে আমরা শুধু পেট ভরে ভাত খাওয়া নিয়েই ভেবেছি। সেভাবে কাজে এগিয়ে গিয়েছি। তবে এখন খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। ফলে এখন থেকে আমরা খাদ্যের মানোন্নয়ন নিয়ে ভাবছি। সরকারিভাবে খাদ্যের গুণগত মান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’
আজ মঙ্গলবার ১৫ মার্চ, ২০২২ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কথাগুলো বলেছেন তিনি।
এম.এ. মান্নান সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণ কৃষিবিদ ছাত্র, ছাত্রীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় অধিকতর মনযোগী হবার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা জাগো। উঠো, বেড়িয়ে পড়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নবীণবরণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তাদের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার। তিনি বলেছেন, “এইচএসসিতে শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ পড়ালেখা করে, তার ৪ ভাগের ১ ভাগ করলে করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ প্লাস’ সমমানের ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে।”
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র, ছাত্রীরা প্রায় বিনা খরচে পড়ালেখা করেন। ফলে তাদের দেশের টাকায় ভালোভাবে পড়ালেখা ও জ্ঞানচর্চায় মনযোগী হতে হবে।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সমাবর্তন মাঠ’-এ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ‘স্নাতক পযায়ের ‘লেভেল ১, সেমিস্টার ১’-এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন বা সমাবতন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের ‘ওরিয়েন্টেশন বাস্তবায়ন কমিটি’র আহবায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-পরামর্শ-নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মোস্তফা সামছুজ্জামান বিপুল এই আয়োজনের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গড়ার জন্য অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: বদরুল ইসলাম শোয়েব, তাদের ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এম. এম. মাহবুব আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে এই মাঠে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র, ছাত্রীদর রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
১১টা ১০ মিনিটে পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ করা হয়েছে।
তারপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। ফলে তাদের কাজ ও অর্জনগুলো জানতে পেরেছেন নতুন ছাত্র, ছাত্রীরা। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, উপাচার্য স্যার ও অন্যদের বক্তৃতার পর সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃষি অনুষদের প্রথম বষ, প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র মনিউর রহমান ফাহিম ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ছাত্রী আফিয়া জাহিন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ উপস্থাপনা করেছেন উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থপ্রতীম বর্মণ ও এগ্রিকালচারাল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রভাষক সুমাইয়া রশিদ।
এরপর প্রধান অতিথি ও পরিকল্পনা মন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট সম্মান উপহার দেন উপাচার্য ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
ওএস।