চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মালদ্বীপে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ৬৯ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মালদ্বীপে বাড়ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। দেশটিতে পর্যটক আগমনের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর যে কয়েকটি দেশ রয়েছে তার মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম। তাই প্রতিবছরই দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ ঘুরতে যায়। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন ভারতীয়রা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশটিতে পর্যটক কমবে বলে মনে করা হলেও দিনদিন তা বেড়েই চলেছে। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আগের বছররের তুলনা এ বছরের প্রথম মাসেই দেশটিতে পর্যটক বেড়েছে ১২ শতাংশ।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভ্রমণে শীর্ষে থাকা ভারতের অবস্থান এখন পঞ্চম। তবে ভারতীয় পর্যটক হ্রাসের বিপরীতে ইতালি ও চীনের পর্যটক বেড়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক।
গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার পর্যটক দেশটি ঘুরতে গেছেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৬ হাজারের বেশি।
জানা যায়, আগের তুলনায় বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ১৬ হাজার ৮০৭ জন বাংলাদেশি মালদ্বীপে ভ্রমণ করলেও ২০২৩ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৩৬ জনে।
এই হিসাবে মালদ্বীপের শীর্ষ ২০টি পর্যটন বাজারে মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম স্থান দখল করে নিয়েছে। মূলত, বাংলাদেশ থেকে মালের সরাসরি ফ্লাইট এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণ প্যাকেজের ফলে দিন দিন অনেক বাংলাদেশির কাছে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ।
এদিকে, দেশটিতে বছরের প্রথম মাসেই পর্যটকের আগমন ছাড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখ। একইসঙ্গে এখনো মালদ্বীপের রিসোর্ট এবং আবাসিক হোটেলগুলোতে অসংখ্য বাংলাদেশিদের বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে দেশটিতে ১৭৬টি রিসোর্ট, ৮০৯টি গেস্টহাউস, ১৪০টি সাফারি এবং ১৫টি বিশ্বমানের হোটেল রয়েছে। প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে। আর তাই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ।