পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুয়াকাটার ফিশ ফ্রাই
সাগর কন্যা কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছের বারবি কিউ ও ফ্রাই। এখানে বঙ্গোপসাগরের গভীরের মাছ লইট্যা, টুনা, ইলিশ, কোরালের পাশাপাশি কাঁকড়া ফ্রাইয়ের চাহিদাও তুঙ্গে। এ ছাড়াও মুরগি ফ্রাই ও বারবি কিউতো আছেই। এসবের সঙ্গে পরোটার স্বাদ যেন অমৃত।
সাগর পাড়ের প্রায় অর্ধশত দোকানে কাঁকড়া, মুরগি ও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে রাখেন ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যা নামলেই পর্যটকরা এসে সাধ্য অনুযায়ী পছন্দ মতো অর্ডার করলেই পাশের চুলায় ফ্রাই বা বারবি কিউ করে দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে পরাটা।
সৈকতের দুই পাশের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চিংড়ি ৫০ থেকে ৫০০, কাঁকড়া ৫০ থেকে ১৫০, টোনা ২০০ থেকে এক হাজার, রূপসা ১০০ থেকে ৫০০, রূপচাঁদা ১০০ থেকে ৫০০, স্যালমন ৩০০ থেকে ৫০০, কোরাল ৫০০ থেকে দুই হাজার, লাক্কা ৫০০ থেকে ৭০০, টুনা ২০০ থেকে এক হাজার, অক্টোপাস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও স্কুইড ৫০ থেকে ৫০০, শাপলা পাতা মাছ ৫০ থেকে ১০০, সামুদ্রিক রুই ২০০ থেকে ৫০০, কালো কোরাল ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাগর পাড়ের ফ্রাই ব্যবসায়ী কাওসার জানান, প্রায় সব শ্রেণি-পেশার পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ফিস ও কাঁকড়া ফ্রাই থাকেই। তাই সবার কথা মাথায় রেখেই চাহিদা মতো ছোট-বড় সব ধরনের মাছ রয়েছে তাদের কাছে। সব শ্রেণির পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ফিস ফ্রাই খাওয়ার চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেন তারা।
ঝিনাইদহ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সাকিল বলেন, কুয়াকাটায় এসে ফিশ ফ্রাই না খেলে মনে হয় কিছু একটা মিস করছি। এখানে অনেক সামুদ্রিক তাজা মাছ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের সবাই মিলে বেশ উপভোগ করছি।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মো.আব্দুর রহমান জানান, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তিনি। তাদের প্রথমে কাঁকড়া এবং পরে টুনা ফিস ও রুটি দিয়ে রাতের খাবার সেরেছেন।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সময় কাটানো ও সামুদ্রিক মাছের বিভিন্ন স্বাদ নেওয়ার অন্যতম জায়গা ফ্রাই মার্কেট। এখানে ৫০টিরও বেশি দোকান আছে। সন্ধ্যার পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। মার্কেটটিতে সামুদ্রিক তাজা মাছ পেয়ে পর্যটকরা বেশ খুশি।
এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মো. আবুল খায়ের বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় এবং নিরাপদ সৈকত গড়তে কাজ করছে মহিপুর থানা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশ।
এসআইএইচ