শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৩৫তম দেশ ভ্রমণে উগান্ডায় আসমা আজমেরী

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৩৫তম দেশের মাইলফলক উগান্ডা। গত ১৩ অক্টোবর ভোর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে এসে কাম্পলায় পৌঁছেন। রাতে এসিয়াকা ভিলা নামে একটি গেস্ট হাউসে অবস্থান করেন বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরী। দেখা হয় বাংলাদেশি শোলো ট্র্যাভেলার গ্রুপের মেম্বার রাকিব আহাদ ও তার সহকর্মীর সঙ্গে।

বিশ্ব ভ্রমণের এ অসাধারণ জয়ে বাংলাদেশি।‌ ট্রাভেলারদের পেয়ে অসম্ভব আনন্দিত এবং তারা শেয়ার করেন তাদের অনুভূতিগুলো। বিশ্ব ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টে কী ধরনের হয়রানি হতে হয়েছে। এভাবেই নিজের বিশ্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন কাজী আসমা আজমেরী।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট এর ১৩৫টি দেশ। কখনো এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনের হয়রানি এবং কখনো কখনো বা ফ্লাইট টিকেট কেটেও যেতে পারিনি। হাজার গল্প ১৩৫টি দেশের ভিতরে রয়েছে এবং চৌদ্দশ শহরে আনাচে কানাচে গ্রাম আছে হাজারো গল্প রয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে ১৩ বছরে প্রতি দুই বছরে, চাকরি করে টাকা জমিয়ে ছয় মাসের জন্য বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়েছেন আজমেরী। তরুণ পরিবর্তনকারী (চেঞ্জ মেকার) কাজী আসমার বিশ্বজয়ের উদ্দেশে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে থেকে বিশ্বজয়ের উদ্দেশে আফ্রিকায় পাড়ি জামান। এখন পর্যন্ত নতুন পাঁচটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। মরিশাস, রিইউনিয়ন, তানজানিয়া, কেনিয়া ও উগান্ডা। কখনো নীলসমুদ্র, ঐতিহ্যবাহী শহর ও পাহাড় পর্বত ক্লেমেন্টজারু, বনে জঙ্গলে, আদি গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘুমিয়েছেন কিংবা আধুনিক শহরে ভ্রমণ করেন।

১৩৫ নম্বর দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টে থাপ্পড় মারেন কেনিয়ান বর্ডারে ব্যুসিয়া শহরে। পূর্ব আফ্রিকার ভিসা যা কি না তিনটি দেশ--কেনিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডা--কাভার করে মাত্র ১১০ ডলারের মাল্টিপল তিস মাসের ভিসা। বর্ডার পার হয়ে উগান্ডা বর্ডারে শুধুমাত্র পাসপোর্টে প্রবেশ এসটেম লাগিয়ে দিয়েছে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে বর্ডারের কাজকর্ম শেষ হয়ে গিয়েছে ‌।

কেনিয়ার কিছু স্কুল কলেজ কিছু সেশন করে (মোটিভেটর স্পিকার হিসেবে বক্তৃতা দেন) এবং রোটারি ক্লাবের কিছু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে এখানে দুই দিন থাকার পরে ১৩৫তম দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়ে পৌছানো হয়। উগান্ডার জিনজা শহরে নীল নদের উৎপত্তি তা দর্শন করেন। পরে ইনকুয়াটর দেখতে যান। ‘বর্তমানে কাবালে লেক আছি’। সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করেছে।

আজমেরী জানান, বাংলাদেশের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক দুর্বল উগান্ডা। দারিদ্র্যসীমার নিচে অধিকাংশ মানুষই একবেলা খেয়ে থাকে গ্রামে। সত্যি দেখলে খুবই খারাপ লাগে। এত দরিদ্র মানুষ আমি আগে জীবনে কখনো দেখিনি। অনেকটা কান্না পায় তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে।

বিদ্যালয়ের ছোট বড় বাচ্চাগুলো অনেক মজা করে খেতে দেখে অনেক আনন্দই লাগে। জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ১৫ বছরের নিচে। মহিলা ক্ষেত খামারে কাজ করেন বাচ্চা কাধে নিয়ে, রাস্তায় কাদামাখা ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে দেখা যায়। সত্যিই উগান্ডা মানেই আসলেই জোকস করার একটি দেশ। আল্লাহ না করুক কারও যেন এ রকম অবস্থায় না পড়তে হয়,আজমেরী।

অনেকে প্রশ্ন করেন আজমেরী ভ্রমণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কোথা থেকে পান? তাদের কেই উদ্দেশ করে তিনি জানান, ৫ তারিখ থেকে আজকে পর্যন্ত এই পাঁচটি দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এ টাকা তার জমানো টাকা থেকে এবং অনলাইনের কাজ থেকে আসছে।

তবে টাকা থাকলেই যে ভ্রমণ করা যায় সেটা নয়, একজন নারী বিশ্ব ভ্রমণে বের হতে এত সহজেই পারেনি। তার পরিবার সমাজ সবকিছুর সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়েই সব ওভারকাম করতে পেরেছেন।। এ ছাড়া, এখানে অনেক ঝামেলাও রয়েছে বিশেষ করে ভিসা পাওয়ার, যোগ করেন আজমেরী।

উনি একজন নারী। একজন নারী হিসেবে উনি বিশ্বজয় করে বিশ্বকে এটাই দেখিয়ে দিতে চায় যে নারীরা কোন অংশেই কম নয়। নারীরা চাইলে সবকিছুই পারে। আর বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে উনি ১৩৫ টি দেশে পরিচিত করতে পেরেছে এটাই ওনার সার্থকতা। আশা রাখেন একদিন উনি বিশ্ব জয়ী নারী হবেন ইনশাআল্লাহ।।

আজমেরী এক্সাইটেড যে তিনি এ রকম ১৩৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। এই ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মোটিভেটেড স্পিকার হিসেবে মরিশাসের দুটি স্কুল এবং কলেজ, তানজানিয়ার দুই স্কুল, কেনিয়ার দুটি, উগান্ডার কাম্পালা শহরের একটু পাশেই স্কুলে বিভিন্ন সেশনে, কাবালে শহরে একটি স্কুলে প্রায় ৩০০০ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তার ভ্রমণের গল্প ও ছেলে-মেয়েদেরকে স্বপ্নবাজ হয়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করেন। এবং তিনি স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীর সমস্ত তরুণ সম্প্রদায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগাবে তাদের নিজস্ব সমাজে।

একটি নারী হয়ে যদি পারেন তাহলে কেন তরুণ প্রজন্ম পারবে না এই উৎসাহ দিয়েই অনুপ্রাণিত করেন ওখানকার ছেলে-মেয়েদেরকে। ইচ্ছা আছে পৃথিবীর সমস্ত দেশে যাওয়ার এবং সেখানকার ছেলে-মেয়েদেরকে তার ভ্রমণের গল্প এবং সেই বাচ্চাদেরকে স্বপ্নবাজ হিসেবে গড়ে তোলা যা এক লক্ষ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার হয়েছে, তিনি বলেন।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক