বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৩৪ দেশে আজমেরী
আসমা আজমেরী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড়াচ্ছেন বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব ভ্রমণকারী এই পর্যটক বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তার ১৩৪তম দেশ ভ্রমণে রয়েছেন।
তিনি বলেন, আবারও এক ধাপ এগিয়ে চললাম। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে আমার পদচারণা। টানা ১৪ দিন তানজিনিয়ার ভ্রমণ করে সেখান থেকে বাসে করে চলে আসলাম কেনিয়ায়। এ নিয়ে ১৩৪টি দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ছাপ্পর মারলাম।
তিনি বলেন, আরোসা (Arusha) থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় চলে আসলাম কেনিয়ার বর্ডারে ডালা ডালা (local) মিনি বাসে সাড়ে তিন ডলারে। বর্ডার পার হয়ে কেনিয়ায় ঢুকলাম ৮ অক্টোবর বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে। আগে থেকেই ইসরাফিকার ভিসা অনলাইনে মেয়াদ থাকায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। শুধুমাত্র স্টিকারটা পাসপোর্টে লাগিয়ে স্টার্ট মেরে দিয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিটেই বর্ডারের কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে । এরপর টাকা পয়সা চেঞ্জ করে এক বয়স্ক মাদ্রাসা শিক্ষকের সাহায্যে এপারে এসে আরেকটি ছোট মাইক্রোবাসে উঠেছি। তারপর সন্ধ্যা ৭টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌনে ৮টায় পৌঁছাই নাইরোবি শহরে। সেখানে অ্যাম্বাসেডর হোটেলে উঠি। আগে থেকেই আমার বিশ্ব ট্রাভেলার বড় ভাই আহাদ ভাইয়া এবং তার কলিগ এসেছেন আফ্রিকা ভ্রমণে। তাদের সঙ্গে দেখা করে রাতের খাবারটা একসঙ্গে করি।
কেনিয়া ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর সকালে নাইরোবিতে ঘোরাফেরা করি। ভিলেজ মার্কেটের ঘানা রেস্টুরেন্টে খাবার খাই। ওখানেই ঘোরাঘুরি করে রাতে ডিনারের জন্য দ্য ট্রিবি হোটেলে খাই। এরপর ১০ অক্টোবর মাসাই মারা (Maasai Mara) গায়ে বেরাতে যাই লোকাল বাসে করে। এর পর নাইরোবি জাতীয় জাদুঘরে যাই। সেখান থেকে রোটারি ক্লাবের (Rotary club) মিটিংয়ে স্পিকার গেস্ট হিসেবে জয়েন করি।
তিনি বলেন, কিছমৌ নামে একটি শহর আছে ওখানে যাব। এখানে কিছু স্কুল কলেজে আমার কিছু সেশন আছে এবং রোটারি ক্লাবের কিছু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করব। এখানে কিছু দিন থাকব তারপরে আরও অন্য জায়গায় যাব, অন্য দেশের উদ্দেশে।
আরএ/