গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্টে বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের কথা শুনলেই ১৯৭১ সালের ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর কথা উঠে আসে। বাংলাদেশের গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আবারও ম্যাডিসন স্কয়ারে বড় পরিসরে উচ্চারিত হলো বাংলাদেশের নাম। সেই কনসার্ট মাতিয়েছে স্করপিয়নস-চিরকুট। আর এ আয়োজন দেখতে উপস্থিত হন বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরী।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ম্যাডিসন স্কয়ারে আয়োজন করা হয়েছে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’র। এর মূল প্রতিপাদ্য রাখা হয় ‘লেট দ্য মিউজিক সে’।
শুক্রবার (৬ মে) এ কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করে জার্মানির ব্যান্ড ‘স্করপিয়নস’ ও বাংলাদেশের ব্যান্ডদল চিরকুট। এ কনসার্টে ছিল দেশি-বিদেশি দর্শক-শ্রোতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের ২০ হাজার ৭৮৯ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তনের পুরোটাই ছিল দর্শক-শ্রোতা ভর্তি। কাজী আসমা আজমেরী কনসার্টে তার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে সৌভাগ্যক্রমে এই সময়টিতে আমি নিউ ইয়র্কে ছিলাম এবং টিকিট মাস্টার থেকে লাস্ট মোমেন্টে কিনেছিলাম। এবং টিকিট মাস্টার থেকে ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
স্করপিয়নস জার্মান ব্র্যান্ড-এর ব্যানারে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং যারা হার্ডরক পছন্দ করেন তারাই এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন বেশি। এই প্রোগ্রামটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধে এই ম্যাডিসন স্কয়ার থেকে রবি শংকরের নেতৃত্বে জর্জ হ্যারিসনকে সঙ্গে নিয়ে বিখ্যাত ‘বাংলাদেশ’ নামে যে কনসার্ট আয়োজন করে সাহায্যের আবেদন করা হয়, সেটিকে স্মরণ করা।
কাজী আসমা বলেন, ‘অনুষ্ঠান উদ্বোধনের একটু পরেই গিয়েছিলাম আটটা ২২ মিনিটে। আমি যখন সেখানে পৌঁছাই, তখন বাংলাদেশের চিরকুট ব্যান্ড মঞ্চে। তবে বাংলাদেশ থেকে যদি ন্যাশনাল পর্যায়ে কোনো হার্ডরক সিঙ্গারকে নিয়ে আসা হতো, আমার মনে হয় আরও আমরা ভালো করতাম। মিকি ডি-এর ড্রাম বাজনা সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিল, দর্শক উচ্ছ্বাসে নাচছিল। স্করপিয়ন ব্যান্ড তাদের গান দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে মুগ্ধ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অরগানাইজ করা একটি প্রোগ্রামে এত আমেরিকান যে থাকতে পারে, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা নিয়ে প্রোগ্রামটি দেখেছি এবং অনেক ভালো লেগেছে এবং বাংলাদেশের পতাকা প্রতিটি গানের তালে তালে।’
কনসার্টের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এরপর মঞ্চে উঠে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নুরুল ইসলাম, নাহিদ খান, অপরাজিতা হক ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কাদেরি কিবরিয়া। তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান অসংখ্য বাংলাদেশিসহ আগত দর্শনার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠিত লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকরা বিনামূল্যে মিলনায়তনে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এসএ/