বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আরব আমিরাতের মরুভূমিতে উৎপাদিত হচ্ছে কৃত্রিম হীরা

ছবি সংগৃহিত

দুবাই মাল্টি কমোডিটি সেন্টারের সিইও ও নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, “আরব আমিরাতের একটি শীর্ষ হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবসার পাশাপাশি বৈচিত্র্য আনতে ল্যাবে-উত্পাদিত হীরা শিল্পে প্রসারিত করা অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।”

পৃথিবীর দুর্লভ ধাতুগুলোর মধ্যে অন্যতম হীরা। হাজারো বছর ধরে হীরার সন্ধানে মানুষ পৃথিবীর গভীরে খনন করেছে। এই খনন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ের ওপরই ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে।

হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ হীরার সন্ধানে পৃথিবীর গভীরে খনন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট গর্তের তৈরি হয়েছে। গভীরতার দিক থেকে যা ৬২৫ মিটার কিংবা ২,০৫০ ফুট।

হীরা খুঁজতে গিয়ে খনন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ের প্রতিই ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। এই কাজটি একদিকে যেমন বিপজ্জনক; অন্যদিকে এটি বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করছে।

কিন্তু হীরার চাহিদা মেটাতে খননই একমাত্র সমাধান নয়। বরং পাশাপাশি ভিন্ন উপায়ও রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল জেম সোসাইটি তথ্যমতে, ১৯৫০-এর দশকে প্রথম ল্যাবে হীরা উৎপাদন করা হয়েছিল।

সময়ের সাথে সাথে ল্যাবে তৈরি হীরার প্রযুক্তিটি বিকাশ লাভ করেছে। বর্তমানে ল্যাবগুলি প্রায় ৮০ ভাগ সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের হীরা তৈরি করছে। এতে খনন কিংবা নেতিবাচক প্রভাবের মতো জটিলতা নেই।

কৃত্রিমভাবে হীরা উৎপাদনের সুবিধা হচ্ছে এটি যেকোনো অঞ্চলেই করা যেতে পারে। এমনকি মরুভূমির মতো জায়গায়ও তা করা সম্ভব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত হীরা আমদানি ও রপ্তানিতে প্রথমসারির দেশগুলোর মধ্যে একটি। তবে আপাতত সেখানে হীরার কোনো প্রাকৃতিক খনি নেই। তাই দেশটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাবেগ শুধু হীরার ব্যবসাই নয়, বরং এটিকে উৎপাদন করার সম্ভাবনাও দেখেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সাবেগ ২০২২ সালে দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ২ডিওটি৪ ডায়মন্ডস প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই আরব আমিরাতের প্রথম কোম্পানি যেটি ল্যাবে উৎপাদিত হীরা তৈরি, কাটা এবং পালিশের কাজ করে থাকে।

এ সম্পর্কে সাবেগ বলেন, "আমাদের ধারণা ছিল হীরাকে বরং ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করা। এক্ষেত্রে সারা বিশ্ব থেকে হীরা নিয়ে আসার পরিবর্তে বরং স্থানীয়ভাবে তা উত্পাদন ও বিক্রি করা।"

ডায়মন্ড তৈরি

কৃত্রিমভাবে ডায়মন্ড তৈরি বিষয়টিও বেশ জটিল। এ সম্পর্কে সাবেগ বলেন, "প্রাকৃতিক ডায়মণ্ডের সাথে এর মূল পার্থক্য হচ্ছে আমরা চাপ, তাপ ও গ্যাস নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। কিন্তু খনির হীরায় তার প্রয়োজন হয় না। বরং তা প্রাকৃতিকভাবেই হয়ে থাকে।"

সাবেগ জানান, একটি ডায়মন্ড উৎপাদন করতে আরেকটি ডায়মন্ডের দরকার হয়। সেটা ল্যাবে উৎপাদিত কিংবা প্রাকৃতিক একটা হলেই চলে। এটিকে বলা হয়ে থাকে সীড; যা সাধারণত প্রায় ০.৩ থেকে ০.৬ মিলিমিটার পুরু হয়ে থাকে।

সীডটিকে মূলত একটি চুল্লির ভেতরে রাখা হয়। পরবর্তীতে এটিকে হাইড্রোজেন, মিথেন, অক্সিজেন ও আর্গনের মতো গ্যাসের সংস্পর্শে আনা হয়। এটিকে ১৮০ টর পর্যন্ত চাপ দেওয়া হয়; যা মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় চাপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। একইসাথে ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে পাতলা স্লাইসে কার্বন জমা হয়। এরপর এটি আয়তনে যেন আরও বাড়ে সেটির জন্য অপেক্ষা করা হয়।

সাবেগ বলেন, "বিভিন্ন প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে ডায়মন্ডের উৎপাদনের সময় ঠিক করা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদনে গতি যত কম হবে মান তত বৃদ্ধি পাবে।"

২ডিওটি৪ কোম্পানিটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ০.০১ মিলিমিটার গতিতে হীরা উৎপাদন করে। অর্থাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় খণ্ডটি দুটি কাগজের শিটের পুরুত্বের সমপরিমাণ দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।

এক্ষেত্রে হীরাটির উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ মিলিমিটার হয়ে গেলে টুকরোটিকে 'ব্লক' বলা হয়। তখন তিনটি কাজ করা যেতে পারে। এক, এটিকে সীড তৈরির জন্য আরও কাটা যেতে পারে; যা থেকে চুল্লিতে আরও হীরা উৎপাদন করা যাবে।

দুই, চাহিদার উপর ভিত্তি করে রত্নটি কেটে পালিশ করা যেতে পারে। এটি তখন হয় জুয়েলার্স ও ডিজাইনারদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে। তিন, ডায়মন্ডটিকে ঘরে ডিজাইন করা একটি গহনার টুকরোয় পরিণত করা যেতে পারে।

হীরা শিল্পের বিশ্লেষক ও পরামর্শদাতা মার্কিনি পল জিমনিস্কির মতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত ল্যাবে তৈরি হীরা উৎপাদনে সবচেয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে। এক্ষেত্রে চীন ও ভারত বিশ্বব্যাপী হীরা উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশ বাজার দখল করে রেখেছে।

গহনা ছাড়াও ল্যাবে উৎপাদিত হীরা একাধিক শিল্পে ব্যবহার করা হয়। বিশেষত কংক্রিট ও মার্বেলের মতো ঘন উপাদানগুলিকে কেটে সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।

জিমিনিস্কি বলেন, "চীনের কয়েক দশক ধরেই শিল্পে বস্তু থেকে কিছু ঘষে তুলে ফেলতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি গয়নায় ব্যবহারের জন্যও দেশটিতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদনের পরিকাঠামো আছে।"

অন্যদিকে ভারত হীরা কাটা ও পালিশ করার ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়ে চলছে। এমনকি বৈশ্বিক বাজার দখল করতে দেশটি ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। গত বছর দেশটির এই শিল্পে কর সংক্রান্ত সংস্কার হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম হীরা শিল্পকে আরও প্রসারিত করতে অতিরিক্ত তহবিলের আহ্বান জানিয়েছে।

দুবাই মাল্টি কমোডিটি সেন্টারের সিইও ও নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, "আরব আমিরাতের একটি শীর্ষ হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবসার পাশাপাশি বৈচিত্র্য আনতে ল্যাবে-উত্পাদিত হীরা শিল্প প্রসারিত করা অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।"

বিন সুলায়েম বলেন, "ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের সাথে সংযোগের প্রতীক। এটির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা এই রূপান্তরের যুগে দুবাইকে একটি অগ্রগামী শক্তি হিসাবে দেখতে উচ্ছ্বসিত।"

বিল সুলায়েম আরও বলেন, "ষাট বছর আগে কাউকে ল্যাবে উৎপাদিত হীরার কথা বললে তারা আপনার দিকে ফিরেও তাকাতেন না। কিন্তু বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম খনির সাথে যুক্ত নৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলির বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে বিলাসবহুল পণ্যের ক্রয়ক্ষমতার দিকে মানুষ ক্রমেই আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই এই শিল্পকে মানিয়ে নিতে হবে।"

তবে জিমনিস্কির মতে, ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড শিল্পে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা আরব আমিরাতের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। কেননা দেশটিকে এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।"

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য কোম্পানি ২ডিওটি৪ এর দেখানো পথই অনুসরণ করছে। যার মধ্যে এইচআরএ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ইভিকিউএ ডায়মন্ডস অন্যতম; যা এইচআরএ গ্রুপের একটি অংশ। কোম্পানিটি মাত্র কয়েক মাস আগে আমিরাতে নিজেদের ল্যাব স্থাপন করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় ব্র্যান্ড ইটিকা ও ইয়াইনি শুধু ল্যাবে তৈরি ডায়মন্ড ব্যবহার করে তাদের ডিজাইন বাজারজাত করছে।

বিন সুলায়েম বলেন, "ল্যাবে উৎপাদিত হীরা শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে, হীরা বিক্রি করে আপনার সময় নষ্ট করবেন না। বরং চূড়ান্ত শিল্পের দিকে মনোনিবেশ করুন।"

তবে সাবেগের জন্য আশার বিষয় হল, ২ডিওটি৪ এমন একটি দেশে ল্যাবে তৈরি হীরা উৎপাদনের যাত্রা শুরু করেছে যেটি বর্তমানে বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে বেশি হীরা আমদানি করে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "এখন আমাদের উচিত হবে শিল্পটিতে একটি মান নির্ধারণ করা।"

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন