বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাজিদ বিষে নীল বাংলাদেশ

ব্যাটিং বিপর্যয়ের ভয়াবহতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও ঢাকা টেস্টে বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়েছে। পাকিস্তানের ৪ উইকেটে পাক্কা ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণার পর মাত্র ২৬ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে প্রচণ্ড ধুঁকছে বাংলাদেশ।

খেলা হওয়ার কথা ছিল ৫০ ওভার। কিন্তু আলো স্বল্পতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তা না হলে যেভাবে ধুঁকছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, তাতে অলআউট হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার!আলোর স্বল্পতার কারণে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭ উইকেট হারিয়ে রান করেছে মাত্র ৭৬। স্পিনার সাজিদ খান একাই তুলে নেন ৬ উইকেট। এটি তার ক্যরিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ বা ততোাধিক উইকেট সংগ্রহ। অপর উইকেটটি ছিল রান আউট।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) খেলার শেষ দিন। যেভাবে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন,সেখানে আবার কাল সকালে যোগ হবে পেসারদের গতি। এ দুই মিলে বাংলাদেশের জন্য এখন টেস্ট বাঁচানোই সত্যিকার অর্থে কঠিন হয়ে পড়েছে? আগামীকাল খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। খেলা হবে ৯৮ ওভার।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ঢাকা টেস্টের প্রথম তিন দিনের দুই দিনেরও বেশি সময় খেলাই হয়নি বৃষ্টি ও আলোর স্বল্পতার কারণে। চতুর্থ দিনও এক ঘণ্টা ২০ মিনিট নষ্ট হয়েছে ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে। এ রকম অবস্থায় টেস্টের কোনো প্রাণই থাকে না। গতিপথ ড্র-ই লেখা হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ হওয়াতে পাকিস্তান ফলাফলের দিকে নজর দিয়েছে। যে কারণে মঙ্গলবার পাকিস্তান খুব বেশি সময় ব্যাট করেনি। চা বিরতির আগেই ৪ উইকেটে ৩০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। যার পুরো ফায়দাই তারা তুলে নিয়েছে। ম্যাচ এখন পুরোটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে।

কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করলে পেসারদের ফায়দা পওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানের স্পিনাররা রাজত্ব করেছেন একাই। আলোর স্বল্পতার কারণে ফ্লাড লাইট জ্বালানো হয়। কিন্তু তাতেও পেস বোলারদের বল খেলা সম্ভব নয়। পাক দলপতি বাবর আজম শুধু স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করেন। আর এর ফায়দা তুলে নেন পুরোটাই। যে ২৬ ওভার খেলা হয়েছে, সেখানে শুধু শাহীন শাহ আফ্রিদী প্রথম ওভার করেছিলেন। এরপর সাদিজ খান ও নোমান আলী মিলে করেন ১২ ওভার করে। সাজিদ খান ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন। নোমন আলী ৩৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও বেশ ভুগিয়েছেন। উইকেট স্পিন ধরছে দেখে বাবর আজম ৩৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নেন দিনের শেষ ওভারে। ওই এক ওভারেই তিনি ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছেন।

সাজিদ খান উইকেট পেয়ে কী আসলেই খুব বেশি ভীতি ছড়িয়েছেন? তার বিষেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা নীল হয়েছেন? আসলে কিন্তু তা নয়। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা ‘ধৈয্যের অভাব, তা আরো প্রকটভাবে উঠেছে এ ইনিংসে। যেন সবার ভীষণ তাড়া ছিল। উইকেটে এসেই অবস্থা বিবেচনা না করেই সবাই মেরে খেলার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন! একমাত্র অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়া সবাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার প্রতিযোগিতায় নামেন।

সাজিদের প্রথম শিকার হয়ে অভিষেকেই শূন্য রানে ফিরে যান এ তরুণ। সাদমান ইসলাম (৩) অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ। মুশফিকুর রহিমের (৫) মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করেননি। সাজিদের আগের বলে কাট করে চার মারার পরের বল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ফাওয়াদ আলমের হাতে বন্দি।

চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস (৬) এসেও ছটফট করতে থাকেন। যার মাশুলও দেন। উইকেট ছেড়ে বের হয়ে খেলতে এসে সাজিদের বলে তার হাতেই ধরা পড়েন। এক প্রান্ত আগলে রাখা নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ রানে আউট হওয়ার আগে বেশ কয়েকবার রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। সাজিদের টার্ন করা বলে শান্ত পরাস্ত হলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন।

মিরাজ অহেতুক স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। বাকি থাকলেন দলপতি মুমিনুল। তিনি রান আউটের শিকার হন অহেতুক ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে। এ রান তিনি নাও নিতে পারতেন। ২৩ রানে অপরাজিত থাকা সাকিব যে এখনও উইকেটে আছেন এটিই রাজ্যের বিস্ময়। কারণ তিনি প্রচণ্ড ছটফট করছেন। বেশ কয়েকবার উইকেট ছেড়ে বের হয়ে এসে শট খেলেছেন। একবার রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। তার সঙ্গে কোনো রান না করে অপরাজিত আছেন তাইজুল।

দিনের শেষ বেলা ম্যাচের যে চিত্র,তা কিন্তু দিনের শুরুতে মোটেই আন্দাজ করা যায়নি। কারণ চতুর্থ দিন বৃষ্টি না হলেও ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি। পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করেছে ৩০০ রানের পাশাপাশি ফাওয়াদ আলমের ফিফটির সঙ্গে সঙ্গে। খালেদের করা ইনিংসের ৯৮ ওভার ৩ বলের সময় ফাওয়াদ ১ রান নিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ৪ উইকেটে ৩০০ রানও পূর্ণ হয়। এরপরই পাক দলপতি বাবর আজম ইনিংস ঘোষণা করেন।

এ দিন পাকিস্তান ৩৫ ওভার ১ বল খেলে রান যোগ করে ১২২। ফাওয়াদ আলম ৫০ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। চর্তুথ দিন এবাদত ও খালেদ একটি করে উইকেট নেন। প্রথম দিন দুইটি উইকেট পেয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল।

চতুর্থ দিন পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল অনেকটা প্রথম দিনের কার্বন কপি। প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম সেশনেই ২ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে দলপতি বাবার আজম ও আজহার আলী হাল ধরে আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি প্রথম সেশনে।

এ জুটি দ্বিতীয় সেশনেও কোনো উইকেট পড়তে দেয়নি। আজ চতুর্থ দিনও পাকিস্তান প্রথম সেশনেই হারায় আগের দিনের অপরাজিত ২ ব্যাটসম্যানকে। বাবার আজম ৭৬ ও আজহার আলী ৫২ রানে ফিরে যান। এরপর ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি বেঁধে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পড়তে দেননি। এমনকি ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্তও তারা ছিলেন অবিচ্ছিন্ন।

এমপি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত