আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সাকিব?
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আপাতভাবে নিষেধাঞ্জা শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট মনে হলেও আইসিসির নিয়ম বলছে ভিন্ন কথা। আইসিসি’র অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের একটি ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন ফেডারেশন কোন বোলারকে নিষিদ্ধ করে তা আমলে নিতে পারে সংস্থাটিও। যদিও সাকিবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রেফারেল টেস্টে সমস্যা হবে না তার। ব্যাটিং হিসেবেই খেলবেন তিনি।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে তাদের আয়োজিত সব প্রতিযোগিতায় বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে। লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বাধীন পরীক্ষাগারের রিপোর্ট অনুযায়ী, তার বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে সারে দলের হয়ে সাসেক্সের বিপক্ষে খেলায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচের আম্পায়ার স্টিভ ও'শাগনেসি এবং ডেভিড মিলন্স। ঐ ম্যাচে সাকিব ৯টি উইকেট শিকার করেন। পরে তাকে বোলিং অ্যাকশনের বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়।
ইসিবি তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘সাকিব চলতি মাসে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বাধীন মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছেন, যেখানে দেখা গেছে তার বোলিং অ্যাকশনে কনুইয়ের প্রবণতা ১৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করেছে, যা নিয়ম লঙ্ঘন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই নিষেধাজ্ঞা ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে এবং ইসিবির সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন পর্যালোচনার নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে।’
সাকিবের ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠল, এবং নিষিদ্ধও হলো। সাকিবকে আবার বোলিং করার জন্য ইসিবির অনুমোদন পেতে তার অ্যাকশনের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭১২ উইকেট শিকার করেছেন। সারে দলে তার এই খেলা ছিল ২০১০-১১ মৌসুমে উস্টারশায়ারের হয়ে খেলার পর প্রথম কাউন্টি ম্যাচ।