ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ সাকিবের গায়ানা
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ফাইনালে উঠতে পারেনি সাকিবের গায়ানা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা ৩৭ রানে হেরে গেছে জামাইকা তালাওয়াসের কাছে। আগে ব্যাট করে জামাইকা সামারহ ব্রুকসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১০৯) ৪ উইকেটে ২২৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে গায়ানা ৮ উইকেটে করে ১৮৯ রান। সাকিব ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হন। ১ অক্টোবর বার্বডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে জামাইকা।
সিপিএলে সাকিব গায়ানা আমাজনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক ম্যাচ পরে। দল তখন ছিল তলানিতে। কিন্তু সাকিব যোগ দেওয়ার পর ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়ে দলকে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে নিয়ে যান। কিন্তু এ দিন তার ব্যাট হাসেনি, দলও জিততে পারেনি। নিতে হয়েছে বিদায়।
টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন গায়ানার অধিনায়ক সিমরন হেটমায়ার। কিন্তু তার সে সিদ্ধান্তের সঠিক প্রতিদান দিতে পারেননি দলের বোলাররা। যদিও ১৬ রানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে ভালোই শুরু করেছিল গায়ানা। কিন্তু সামারহ ব্রুকস আসার পর দাবার চাল পাল্টে যেতে থাকে। দলের বিপর্যয়েও হয়ে উঠেন মারমুখী। চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছিটাতে থাকেন প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে। কোনো বোলার এসেই তার রান করার নেশা রুখতে পারেননি। রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে ৫.৫ ওভারে ৫৫, রেয়মন রেইফারের সঙ্গে ৬.৩ ওভারে ৫১ রান যোগ করার পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইমাত ওয়াসিমকে নিয়ে গায়ানার সর্বনাশ করে দেন। হয়ে উঠেন বেশি আরও মারমুখী। পড়েন এ সময় মাত্র ৪.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ১০৩ রান। যে কারণে ৩৪ বলে ৫০ রান করলেও পরের ৫০ রান করেন মাত্র ১৬ বলে। তার অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস সেজেছিল মাত্র ৫২ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায়। সাকিব ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
বিশাল রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে গায়ানা রানের চাকা সচল রাখলেও উইকেট পড়তে থাকে একটু বেশি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান এলেও উইকেট পড়ে ৩টি। কিন্তু বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে কেমো পলের ব্যাটের থেকে। তিনি ৩৭ বলে ১ ছক্কা ও ৭ চারে করেন এই রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল শাই হোপের। তিনি মাত্র ১৩ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩১ রান করেন। সাকিব ৬ বলে ৫ রান করেন।
এমপি/আরএ/