সম্মাননা পেলেন ঢাকাপ্রকাশ-এর মহিউদ্দিন পলাশসহ তিন ক্রীড়া সাংবাদিক
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর হেড অব স্পোর্টস মো. মহিউদ্দিন পলাশসহ তিন ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখক। অপর দুইজন হলেন- পাক্ষিক খেলার ভুবন ম্যাগাজিনের সম্পাদক সারওয়ার হোসেন ও ক্রীড়া লেখক কামরুন্নাহার ডানা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধান অতিথি এবং পৃষ্টপোষক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনজনকে ব্লেজার পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময় আয়োজক বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি সনৎ বাবলা, সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বসেছিল ক্রীড়া সাংবাদিকদের মিলন মেলা। এ দিন তিন ক্রীড়া সাংবাদিককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি ৮টি ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের সেরা ক্রীড়া সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করা হয়। যেখানে বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া সাংবাদিকরা সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন। ৮টি ক্যাটাগরি ছিল বদি-উজ-জামান ট্রফি এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট, আব্দুল হামিদ ট্রফি সিরিজ রিপোর্ট, আতাউল হক মল্লিক ট্রফি সাক্ষাৎকার (প্রিন্ট-অনলাইন এবং টেলিভিশন), রণজিৎ বিশ্বাস ট্রফি ফিচার/ডকুমেন্টরি (প্রিন্ট-অনলাইন এবং টেলিভিশন), বদরুল হুদা ট্রফি ফটোগ্রাফি ও তৌফিক আজিজ খান ট্রফি জার্নালিস্ট অব দ্যা ইয়ার।
২০২১ সালের জার্নালিস্ট অব দ্যা ইয়ার হয়ে তৌফিক আজিজ খান ট্রফি ও ৫০ হাজার টাকা জিতেছেন চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার সাদমান সাকিব। কালের কণ্ঠের সিনিয়র সাব এডিটর রাহেনুর ইসলাম প্রথম রানারআপ ও ঢাকা পোস্ট এর সিনিয়র রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ। দুই জনেই ট্রফির পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্য ৭টি বিভাগেও সেরা রিপোর্টার এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপকেও ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।
পরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও তার পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সমপরিমাণ আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সম্মাননা পাওয়া তিন সাংবাদিককেও আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেন।
ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের মান দিন দিন বাড়ছে। ম্যাক্স গ্রুপ আগামীতে আরও বড় করে এই আয়োজনে পাশে থাকবে।’
মহিউদ্দন পলাশ বলেন, ‘আমার বড় মেয়েকে ক্লাসে যখন শিক্ষক জিজ্ঞেস করেন, হোয়াট ইজ ইউর অ্যাম্বিশন। তখন অন্যরা যখন বলে ডাক্তার, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার হবে, আমার মেয়ে বলে সাংবাদিক হবে। ক্লাস টিচার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন সাংবাদিক হবে? তখন সে তার বাবার কথা বলে। শিক্ষক তার এরকম ব্যতিক্রমী ভাবনাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিলেন। বাসায় আসার পর যখন সে এটা আমাকে বলছিল, তখন তার চোখে-মুখে দেখেছি অন্যরকম এক তৃপ্তি। এটি আমার সাংবাদিকতা জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
এমপি/এসজি