৮ বছরে ৮৫ জনকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান
প্রতি বছর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার মানেই ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের হাট। সেখনে যদি একসঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৫ জনকে ৮ বছরের পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই হাট বিশাল আকার ধারণ করে। আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তেমনি এক বিশাল হাট বসেছিল। দেশের বিভিন্ন খেলার তারকা ক্রীড়াবিদ, কোচ, ক্রীড়া সংগঠকদের পদচরণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রদান করেছেন। এবার তিনি থাকতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে আগামিতে উপস্থিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে প্রতি বছর যাতে করে নিয়মিত এ পুরস্কার প্রদান করা হয় সেই ব্যাপারে নজর দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে পুরস্কার প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ২০২০ সালের পুরস্কার প্রদানের আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চাওয়া হলে, তখন তিনি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তার একথা জানান। সময়ের স্বল্পতার কারণে শুধু ২০২০ সালের জন্য নির্বাচিত ৮ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বাকিদের মিলনায়তনে প্রবেশের সময় পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পদক, ১ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উপর একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিশেষ এক আনন্দঘন দিন। এটি এক ঐতিহাতিক মুহূর্ত। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনবদ্য ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন গুণী খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠককে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আমরা অভিভূত।’
অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালকে সংগঠক হিসেবে মরণোত্তর পুরস্কার প্রদান করা হয়। তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যারা মরণোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন তাদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এমপি/এসএন