দলের ব্যর্থতা, ২৫ শতাংশ বেতন কাটা পড়বে রোনালদোদের!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যে ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল, ব্রাইটনের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে সে সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে গত রাতে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লজ্জাটা সেখানেই শেষ হয়নি। নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করার রেকর্ডও করে বসেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। গড়েছেন আরও অনেক লজ্জার রেকর্ড।
দলের এমন পারফর্ম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশাল পরিমাণ বেতন কাটা পড়তে যাচ্ছে ইউনাইটেডের প্রতিটি খেলোয়াড়ের। যার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠতে না পারার ফলে আগামী মৌসুমে চলতি মৌসুম থেকে ২৫ শতাংশ বেতন কাটা পড়বে দলটির খেলোয়াড়দের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা মর্যাদার বিষয় তো বটেই, তবে তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আর্থিক অর্জনের বিষয়ও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব খেলতে পারলেও ক্লাবের কোষাগারে জমা পড়ত প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা। উপার্জনের পথটা এখানেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি জয়ের ফলে ক্লাব পায় বাড়তি সাড়ে ২৫ কোটি টাকা। এমনকি ড্র করলেও উয়েফা দলগুলোকে দেয় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারলে আসে আরও ৯১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ। গত রাতে লজ্জার হারের ফলে এমন সব অর্থের হাতছানি বন্ধ হয়ে গেছে রোনালদোদের জন্য।
এখানেই শেষ নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারলে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকেও পাওয়া যায় বাড়তি কিছু অর্থ। সে সংখ্যাটা নেহায়েত কম কিছু নয়। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারায় সেটাও পাবে না দলটি।
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টাকা, পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ পাচ্ছে না ইউনাইটেড; তাই গাঁটের টাকা খরচ করে খেলোয়াড়দের বাড়তি বেতনের ভার বইবে না ক্লাবটি। সে কারণেই আগামী মৌসুমে সব খেলোয়াড়ের বেতন কমে যাচ্ছে এক চতুর্থাংশ।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথা, যিনি ইউনাইটেড থেকে চলতি মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বেতন নিয়েছেন। আগামী মৌসুমে দলটিতে থাকলে সেই রোনালদোর সাপ্তাহিক বেতন দাঁড়াবে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। দলের আরেক তারকা ডেভিড ডি গিয়া চলতি সপ্তাহে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কিছু বেশি বেতন পেতেন। সেই বেতনটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে না পারায় আগামী মৌসুমে নেমে আসবে ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।
টিটি/