টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ মোস্তাফিজ
প্রথম ৮ ম্যাচ টানা খেলার পর নবম ম্যাচে এসে মোস্তাফিজকে সেরা একাদশে রাখেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচে তারা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতেছিল ২১ রান।
জয়ের ধারা ধরে রাখতে রবিবার (৮ মে) চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষেও সেরা একাদশে রাখা হয়নি কাটার মাস্টারকে। কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের পরবর্তী প্রতিটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে। সমান ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের পয়েন্ট মাত্র ৬। তাদের অবস্থান ১০ দলের মাঝে ৮ নম্বার। আজকের ম্যাচে টস হেরে বোলিংয়ে দিল্লি।
এবারের আসরে মোস্তাফিজ দিল্লির হয়ে উইকেট খুব বেশি না পেলেও ৩টি ম্যাচ ব্যতীত বাকি ম্যাচগুলোতে খুবই ইকোনমি বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের বেহাল অবস্থায় রেখেছিলেন। ৮ ম্যাচের প্রতিটিতেই তিনি ৪ ওভার করে বোলিং করে ২৪৪ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৮টি। এর মাঝে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ২টি ম্যাচে। প্র্রথম ম্যাচেই গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। তার অপর দুইটি উইকেট ছিল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২৮ রানে ও রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৪৩ রানে। মোস্তাফিজের অপর ৪ ম্যাচের বোলিং ফিগার ছিল লাখনৌ সুপার জায়ান্টেসের বিপক্ষে ২ ম্যাচে ২৬ ও ৩৭ রান, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২১ রান, রয়্যাাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। মোস্তাফিজের ইকোনমি ৭.৬২। কিন্তু এই ইকোনমিতে মন ভরেনি দিল্লি ক্যাপিটালসের টিম ম্যানেজমেন্টের। উইকেট প্রাপ্তি যে খুবই কম। মাত্র ৮টি। আবার মাঝে মাঝে কোন ওভারে অতিরিক্ত বেশি রানও দিয়ে ফেলেন। সব মিলিয়ে আপতত মোস্তাফিজের উপর ভরসা রাখতে পারছে না দিল্লি!
এমপি/এমএমএ/