মুশফিকের দিকে বিসিবি সভাপতির আঙ্গুল
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্যের ভিত গড়ে উঠেছিল পঞ্চপান্ডবকে ঘিরে। এই সাফল্য ছিল শুধুই রঙিন পোষাকের ক্রিকেটের দুনিয়াতে। কারণ ইনজুরির কারণে মাশরাফির টেস্ট ক্যারিয়ার অকাল মৃত্যু ঘটেছিল।
রঙিন পোষাকেও এখন আর সেই পঞ্চপান্ডব নেই। সাদা পোষাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অনেকটা অভিমানে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে হুট করে বছর কয়েক আগে মাশরাফি অধিনায়ক থাকা অবস্থাতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন। এরপর ছিলেন শুধু ওয়ানডে ক্রিকেটে। সঙ্গে ছিল নেতৃত্বও। কিন্তু এখন তিনি সেখানেও নেই। ঝরে পড়ে পঞ্চপান্ডবের এক পান্ডব। চার পান্ডবেই চলছিল খেলা। কিন্তু সেখানেও পড়ে ছেদ। তামিম ইকবাল প্রায় এক বছর থেকে খেলছেন না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। সাকিবকে কখনো পাওয়া যায়, কখনো পাওয়া যায় না। বাকি থকেন দুই ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনেই ফর্মের সঙ্গে লড়াই করছেন। বিশেষ করে মুশফিক পঞ্চপান্ডবের মধ্যে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই ‘অ্যাভেলবেল’। তবে বর্তমান ফর্ম তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এক বিশাল প্রশ্নের মুখে। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলে তার রান ছিল সর্বোচ্চ ৫১। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ১১। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলেও তিনি রান খরা কাটাতে পারেননি। ৪ ম্যাচ খেলে ৩২, ১৪, ১৬ ও ২৫। আজ রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দলের কোচিং স্টাফ ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে এক বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুশফিকের দিকে তর্জনি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্লেয়ারগুলোকে আমরা চাই না তারা মন খারাপ করে যাক। আমরা চাই তারা হাসিমুখে যাক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নেক। যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততই ভালো। একটা সময় তো আসবে যদি সিদ্ধান্ত না নেয়, তখন আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের বলতে আমি না, কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটাই হবে। অলরেডি তো রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে। তামিম টি-২০ খেলছে না। মুশফিক এখনো খেলছে। বাট ওর চিন্তা ভাবনা জানা যাবে, ও কি চিন্তা ভাবনা করছে, আমরা জানতে পারব।’
এমপি/আরএ/