জিতেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আফসোস
চ্যাম্পিয়ন হতে হলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ। নিজেদের সব ম্যাচ জিততে হবে আবার ৪ পয়েন্টের ব্যবধানে শেখ জামালকে একাধিক ম্যাচ হারতেও হবে। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে গিয়ে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। দুই দলই হেরে বসে। ফলে ব্যবধান একই থেকে যায়। যে কারণে শেষ দুই ম্যাচে আবারো নিজেদের জয়ের পাশাপাশি শেখ জামালের হারটা ছিল তাদের জন্য অত্যাবশাকীয়। তা’হলেই শেষ রাউন্ডে দুই দল মুখোমুখি হবে শিরোপা জেতার জন্য। সেই লক্ষ্যে রূপগঞ্জ নিজেদের কাজটা বেশ ভালোভাবেই করে রেখেছিল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করে প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২৯.২ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট করে ১৯৬ রানে ম্যাচ জিতে। রূপগঞ্জ যখন ম্যাচ জিতে, তখন মিরপুরে শেখ জামালের অবস্থা খুবই করুণ। উৎফুল্ল হয়ে উঠছিলেন রূপগঞ্জের ক্রিকেটাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেখ জামাল ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে গেলে তাদের বিশাল ব্যবধানের জয় অর্থহীন হয়ে পড়ে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তারা হয়েছে রানার্সআপ।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জের ইনিংস গড়ে উঠে সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, নাঈম ইসলাম ও রাকিবুল হাসানের ব্যাটে ভর করে। সাব্বির রহমান ১০ রানের জন্য লিগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে তিনি ৮৩ বলে ৯০ রান করে মাহবুবের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর হাতে ধরা পড়েন। সাকিবের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি ৭.২ ওভারে ৮০ রান যোগ করেন। সাকিব মাত্র ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৯ রান করে আল আমিনের বলে মাহবুবের হাতে ধরা পড়েন। তিনি ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। এ ছাড়া রাকিবুল ৪৭, নাঈম ৪২, ইরফান ২৯ রান করেন। রূপগঞ্জের রান তিনশ অতিক্রম করার কথা ছিল। কিন্তু দলীয় ২৮৭ রানে সাব্বির আউট হওয়ার বাকি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে আসা যাওয়া করলে ২৯৩ রানে থেমে যেতে হয়। যে কারণে তারা শেষ ৯ বলে মাত্র ৬ রান যোগ হয়। খালেদ, রাকিবুল ও মাহবুব ২টি করে উইকেট নেন।
গাজী গ্রুপ ব্যাট করতে নেমে চিরাগ জানির মারাত্বক বোলিংয়ে কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। এক পর্যায়ে ৩৪ রানে হারায় ৬ উইকেট। পরে সপ্তম উইকটে জুটিতে মেহরব ও হুসনা হাবিব ৫৬ রান যোগ করলে দলের সংগ্রহ শতরান অতিক্রম করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ৯৭ রানে তারা অলআউট হয়ে যায়। চিরাগ জানি ৭.২ ওভারে ১৫ রানে নেন ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন আল আমিন ও নাঈম ইসলাম। ম্যাচ সেরা হন সাব্বির।
এমপি/আরএ/