হস্তান্তরের আগেই ফাঁটল রামগঞ্জের মডেল মসজিদে, স্থানীয়দের অসন্তোষ

ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মডেল মসজিদ হস্তান্তরের আগেই ভেতরে ও বাইরে ফাটল দেখা দিয়েছে। আধুনিক এই মসজিদটির দেওয়ালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফাটল ধরায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাবেই এমন দুরবস্থা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিন যত গড়াচ্ছে, ফাটলের সংখ্যা ততই বাড়ছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জুভেন্টার্স ইন্টারন্যাশনাল বিষয়টি গোপন রাখতে এসও-কে ম্যানেজ করে ফাটল ঢাকতে আস্তর, পুডিং ও রংয়ের প্রলেপ দিচ্ছে।
সরকারের ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে রামগঞ্জে এই তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ শুরু হয়। লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সঠিক তদারকি না থাকায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়েছে।
জেলা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে তিনটি বিলের মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা মসজিদ হস্তান্তরের পর দেওয়া হবে।
নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, ফাটল আস্তরের, দেওয়ালের নয়। সিমেন্ট, বালি ও পানির পরিমাণে অনিয়মের কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসতিয়াক আহম্মেদ জানান, ফাটল শুধুমাত্র আস্তরে। যতটুকু সম্ভব আস্তর, পুডিং ও রং দিয়ে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, "এখনও আমাদের কাছে মসজিদ হস্তান্তর করা হয়নি। ত্রুটিপূর্ণ মসজিদ আমরা বুঝে নেব না।"
স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
