রাব্বির শতকে রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয়
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দিনের অপর দুইটি ম্যাচে শিরোপার প্রশ্ন জড়িত থাকলেও বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে সে রকম কিছু ছিল না। নিছক আনুষ্ঠনানিকতার ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স।
ফজলে মাহমুদ রাব্বির (১০৪) সেঞ্চুরিতে রুপগঞ্জ টাইগার্স আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপ ৪৩.৩ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ সেরা হন ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রপগঞ্জ টাইগার্সের ইনিংসে গড়ে উঠে ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরির সঙ্গে ইমরানুজ্জামান (৭৩) ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের (৫৩) হাফ সেঞ্চুরিতে। পরে সেখানে শামিল হন আরিফুল হক ১৩ বলে ৪৩ রানের টনের্ডো ইনিংস খেলে।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের ইনিংসে ছিল একটি শতরান ও দুইটি অর্ধশত রানের জুটি। শতরানের জুটি গড়ে উঠেছিল তৃতীয় উইকেটে সেঞ্চুরিয়ান ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে। তারা ১৭.৩ ওভারে ১০৯ রান যোগ করেন। অর্ধশত রানের জুটি ছিল উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান ইমরানউজ্জামান ও জাকির হাসানের ব্যাটে। তারা যোগ করেন ৫৪ রান। অপর জুটি ছিল দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমরানউজ্জামান ও ফজলে মাহমুদের ৭৫ রান। ফজলে মাহমুদ ১০৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে বাউন্ডারি মেরে।এরপর আর ২ রান করে তিনি রিটার্য়াড করেন। তার ১০৮ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৫টি চার।
ইমরানউজ্জামান ৮৩ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৩ রান করে মাহমুদুল হাসানের বলে খালেদের হতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। মার্শাল আইয়ুব ৫১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে জয়নুলের বলে অতিরিক্ত ফিল্ডার নিলয়ের হাতে ধরা পড়েন। মার্শাল আইয়ুব আউট হওয়ার পর ১৬ বল থাকতে উইকেটে এসে আরিফুল ১৩ বল খেলেই ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৪১ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন জয়নুলের শিকার হয়ে। মাহমুদুল ৩৮ ও জয়নুল ৭০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাসুমের তোপে গাজী গ্রুপের শুরুটা ভালো হয়নি। শূন্য রানে হারায় ওপেনার প্রান্তিককে। দলীয় ১৪ রানে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা জুবায়ের। দলীয় অর্ধশত রনে ফিরেন ধ্রুব শোরে। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে এমন সূচনায় শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় গাজী গ্রুপ। পরে মাহমুদুল হাসান ৫৯ ও অধিনায়ক আকবর আলী ৫০ রান করলে গাজীর রান দুইশ অতিক্রম করে অলআউট হয় ২১৪ রানে। নাসুম আহমেদ ৫৪ রানে নেন ৪ উইকেট। শরিফউল্লাহ ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪১ রান। ফরহাদ রেজা ৩১ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/