হেরেও শিরোপা লড়াইয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
শিরোপার জেতার কঠিন সমীকরণ নিয়ে সুপার লিগ শুরু করা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে লক্ষ্য ছিল কোনো ম্যাচ হারা চলবে না। কিন্তু সেই তারা হেরে গেছে আবাহনীর কাছে ৮১ রানে। তবে রূপগঞ্জের কপাল ভালো একই রাউন্ডে শিরোপা প্রত্যাশি শেখ জামালও হেরে গেছে প্রাইম ব্যাংকের কাছে ৮ উইকেটে। যে কারণে দুই দলের পয়েন্টের ব্যবধান একই থেকে গেছে। ১৩ ম্যাচে শেখ জামালের ২২, রূপগঞ্জের ১৮ পয়েন্ট। এখন শেষ দুই রাউন্ডে নিষ্পত্তি হবে শিরোপা। আবার চতুর্থ রাউন্ডেও নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে!
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়া আবাহনী নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৯ রানের নিরাপদ সংগ্রহ গড়ে তুলে। পরে বল হাতে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তানভীর ইসলামের তোপে পড়ে[ রূপগঞ্জ খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। ৪১.৫ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী ৩০ রানেই হারায় দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৬) ও মোহাম্মদ নাঈম শেখকে (২২)। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল ও আফিফ ১২৬ রান যোগ করে দলের বিপর্যয় কাটিয়ে তুলেন। আফিফ ৭২ বলে ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৬২ রান করে মুক্তার আলীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৫০ রান যোগ করেন।
নাজমুল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ১০১ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৬ রান করে সাকিবের বলে তারই হাতে ধার পড়ে বিদায় নেন। এই দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নেওয়ার পর মোসাদ্দেক ২৮, তৌহিদ হৃদয় ২৪ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ৩০ রানে লড়াই করার মতো পূঁজি পায়। সাকিব ছয় নম্বার বোলার হিসেবে বল হাতে তুলে নিয়ে ৫৩ রানে নেন ৩ উইকেট। আল আমিন হোসেন ৩৭ রানে নেন ২ উইকটে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দুই ওপেনার রাকিবুল হাসান নয়ন ও সাব্বির রহমান রুম্মানের ব্যাট ভর করে ভালোই সূচনা পায়। জুটিতে ৪৭ রান আসে। কিন্তু ২৭ রান করে রবিউল ফিরে যাওয়ার পর ব্যাটিং অর্ডারে ধ্স নামে। রবিউলকে ফিরিয়ে দেওয়া তানভীর ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মিলে রূপগঞ্জের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন। সৈকত খুবই দ্রুত সাকিব (৩) নাঈম (৭) ও ইরফান শুক্কুরকে (১) ফিরিয়ে দিলে রূপগঞ্জ শতরানর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায়। সেখান থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করেছিলেন চিরাগ জানি।
কিন্তু ৪৮ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে আবার রূপগঞ্জের সম্ভাবনায় পানি ঢেলে দেন তানভীর ইসলাম। চিরাগ জানি আউট হওয়ার পর তানভীর হায়দার ও মুক্তার আলী মিলে আব্রা ঘুরে দঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জুটিতে ৪০ রান যোগ হওয়ার পর মুক্তার আলী ২২ বলে ২২ রান করে সৈকতের চতুর্থ শিকার হয়ে আউট হলে শেষ সম্ভাবনাও নিভে যায়। শেষ পর্যন্ত তানভীর ৫০ বলে ১টি করে চার ও ছয় মেরে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। সৈকত ৪০ রানে ৪টি ও তানভীর ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এমপি/এমএমএ/