মাশরাফি-সাকিবে উজ্জীবিত লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ শিরোপার আশা ছাড়েনি
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের রাস্তাটা কন্টাকাীর্ণ। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে শুধু সব ম্যাচ জিতলেই হবে না, বেশসুবিধাজনক অবস্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাধিক হারও কামনা করতে হবে এবং সেটা হতেও হবে! তবেই যদি শিরোপার মারা গলায় পড়া সম্ভব হয়। কাজটি যে কঠিন তা জানেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ত আফতাব আহমেদও। কিন্তু তিনি সে হিসেবে যেতে চান না। তিনি এগুতে চান প্রতি ম্যাচের ২ পয়েন্ট ধরে। এভাবে প্রতি ম্যাচেই তিনি চার ২ পয়েন্ট। এরপর হবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হিসেব-নিকেশ। আজ তিনি মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। এটা আমরা টার্গেট নিয়ে খেলছি। আর প্রসেস যেটা ছিল, প্রত্যেক ম্যাচ ২ পয়েন্ট। কার বিরুদ্ধে খেলছি এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না, আমাদের জন্য ২টা পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। কালকেও আমাদের ২টা পয়েন্ট প্রয়োজন। কার সাথে খেলতেছি সেটা ডাজেন্ট ব। পরের যে চারটা পয়েন্ট সেটাও আমরা ২টা পয়েন্ট নিয়ে খেলব। শেষে হিসেবে কে চ্যাম্পিয়ন হবে কে হবে না।’
দল-বদলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে নিয়ে এবার তেমন কোনো হাকডাক ছিল না। কিন্তু মাশরাফিকে দলে নেয়ার পরই সবার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। শিরোপা লড়াইয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকেও ভাবা শুরু হয়। সুপার লিগে সাকিব যোগ দেয়ার পর সেখানে স্রোত তৈরি হয়। এ নিয়ে আফতাব বলেন, ‘তখন নিজেও খেলোয়াড় ছিলাম, খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি। এখন কোচ, কোচ হিসেবে দেখছি। ওরা অনেক হেল্পফুল। এটা আমাদের দলের জন্য বড় সুবিধা। সামনে ৩টা ম্যাচ আছে, আমরা আশা করতেছি একটা একটা ম্যাচ করে আগাবো। প্রথম থেকে মাশরাফি আমাদের দলকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে। আর সাকিব আসার পর তো এক্সট্রা অর্ডিনারি। সবার এফোর্ট অনেক বেশি ছিল। সাকিব যেমন চ্যাম্পিয়ন, মাঠেও এমন মানসিকতা ছিল। ওর জন্য বাকি সবারও মানসিকতা একই ছিল।’
শিরোপার লড়াইয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে তারা খেলবে সুপার লিগের শেষ ম্যাচ। এর আগ লিজেন্ডস অব রপগঞ্জ যদি সব ম্যাচ জিতে যায় আর শেখ জামাল কোন ম্যাচ হারে, তা হলে শেষ ম্যাচ হয়ে উঠবে শিরোপা নির্ধারণি। আর যদি দুই দলই চারটি করে ম্যাচ জিতে পরস্পরের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়, তা হলে শেষ ম্যাচ হবে নিয়ম রক্ষার। তখন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ হবে রানার্সআপ।
এমপি