মোশাররফ রুবেলের কবর স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্ত্রীর আকুতি
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল মারা গেছেন আজ তিন দিন হয়। দীর্ঘদিন ব্রেইন ক্যান্সারে ভুগে গত ১৯ এপ্রিল তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর মোশাররফ হোসেন রুবেলকে বনানি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মোশাররফ হোসেন রুবেলের একমাত্র ছেলে রুশদানকে নিয়ে তার স্ত্রী চৈতী ফারহানা রুপা আজ শুক্রবার গিয়েছিলেন বনানি কবরস্থানে। যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। কিন্তু তার কবরের এই ঠিকানা মাত্র দুই বছরের জন্য। এরপর এই কবরের উপরে নতুন করে কাউকে দাফন করা হবে। তাই রুবেলের স্ত্রী চান স্বামীর কবরটি যেন স্থায়ী করা হয়। এর জন্য প্রয়োজন অনেক টাকার। আনুমানিক কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে। কিন্তু এতো টাকা নেই স্ত্রী চৈতির কাছে। রুবেলের ব্যয়বহুল চিকৎসার পেছনে টাকা খরচ করে এখন অনেকটাই নিঃস্ব। যে কারণে কোটি টাকা খরচ করে কবরস্থান স্থায়ী করার সামর্থ্য তার নেই। তাই তিনি আকুতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তার জন্য।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া। উনি তো অনেককে অনেক কিছু দেন। আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। জীবিত ক্রিকেটারদের জন্য তো অনেক কিছু করেন। আমার রুবেলের জন্য, একজন মৃত ক্রিকেটারের জন্য একটা কবরের জায়গা দেবেন না? আর কিছু চাওয়ার নেই আমার।’
চৈতি যখন এ কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একমাত্র ছেলে রুশদান। বাবা হারানোর কষ্টটা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি ছোট্ট রুশদান। বড় হয়ে ছেলে যাতে বাবার কবরটা দেখতে পারে সে জন্য চৈতির এই চাওয়া।
তিনি বলেন, ‘রুবেলের জন্য একটু স্থায়ী মাটি চাই, যাতে আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর কবর তুলে ফেললে তো পারব না রুবেলকে দেখতে। রুবেল তো কোথাও নেই। শুধু এখানেই আছে। রুবেল তো হারিয়ে গেছে। রুবেলের শরীরটা যেন এখানেই থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। এখানে কবর থাকে মাত্র ২ বছরের জন্য। কবর স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে, প্রায় এক কোটি টাকার মত। আমার কাছে তো এই পরিমাণ টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবর স্থায়ী হোক, রুবেল যেন একটু মাটি পায়।’
এমপি/আরএ/