রেলিগেশনে নেমে গেল খেলাঘর
সিটি ক্লাবকে হারিয়ে রেলিগেশন বাঁচানোর যে একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ, ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ৮ উইকেটে হেরে সে সম্ভাবনার সলিল সমাধি হয়েছে।
খেলাঘরের ১৫২ রানের জবাবে ব্রাদার্স ৩৪.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৪ রান করে। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। আগামী মৌসুমে তাদের খেলতে হবে প্রথম বিভাগে। আর ব্রাদার্স-সিটি ক্লাবের ম্যাচটি পরিণত হয়েছে নিয়ম রক্ষার। ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। ১১ ম্যাচে সিটি ক্লাবের ৬, ব্রাদার্সের ৮ পয়েন্ট।
আজ ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি ৩৭ ওভারে নেমে এসেছিল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘর খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ৩৫.১ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয়। আবু হায়দার রনির মারাত্বক বোলিংয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায়। এরপর শচিন বেবি ও প্রিতম কুমার হাল ধরে ৫৫ রান যোগ করেন। প্রিতম ৩৩ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর আবার ধস নামে। কিন্তু শচিন বেবি এক প্রান্ত ধরে রেখে দলের রান দেড়শ পার করান। শচিন বেবি ৬ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করে আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এই দুই জন ছাড়া সাদ্দাম ১২ রান করেন। আর কেউ দুই অংকের রান করতে পারেননি। আবু হায়দার রনি ২৭ ও রায়হানউদ্দিন ২৯ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকটে নেন মানিক খান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারে ব্যাটেই ব্রাদার্স বড় জয়ের ভীত গড়ে ফেলে। ইমিতয়াজ ও সাদিকুর ৬৪ রান যোগ করেন। সাদিকুর ৩৭ রান করে আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ আশরাফুলও ৮ রান করে বিদায় নিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদমান ইসলামকে নিয়ে ইমতিয়াজ জয়ের বাকি কাজ সেরে ফেলেন। অধিনায়ক ইমতিয়াজ ১০৭ বলে ২ ছক্কা ও ১০ চারে অপরাজিত ৮৭ ও সাদমান ইসলাম ৪১ বলে চার-ছয় বিহীন ইনিংসে করেন ১৬ রান। একটি করে উইকেট নেন টিপু সুলতান ও মোহাম্মদ ইলিয়াস। ম্যাচ সেরা হন ইমতিয়াজ হোসেন।
এমপি/এমএমএ/