সুপার লিগে আবাহনীর আবারো হার
শিরোপার দাবীদার হয়ে সুপার লিগ শুরু করা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী আবারো হেরে গেছে। এবার তার হার মেনেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে। বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে আগে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে আবাহনী উড়ন্ত সূচনা করেও আল আমিন জুনিয়রের তোপে পড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। ২৪৯ রানে তারা যখন অলআউট হয়, তখনও ওভার অবশিষ্ঠ ১৫.৩টি। আল আমিন জুনিয়র ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
গাজী গ্রুপের বড় সংগ্রহের পেছনে অবদান রয়েছে মাহমুদুল হাসানের ৮৮, ফরহাদ হোসের ৫৭ ও ধ্রুব শোরের ৫৫ রানের ইনিংসের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদি হাসান ও মাহমুদুল হাসানের কল্যাণে ভালোই সূচনা পায়। উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ৬৬। ৩১ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৫ রান করে মেহেদি হাসান আউট হয়ে গেলেও মাহমুদুল রান সংগ্রহ করে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তিনি ফরহাদ হোসেনকে নিয়ে ১১৯ রান যোগ করেন ১৪.৫ ওভারে। মাহমুদুল ৬৭ বলের মারমুখি ইনিংসে খেলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৮ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর বলে আফিফ হাসেন ধ্রুবর হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ৭ রান ফরহাদ হোসেনও আউট হয়ে যান তানভীরের বলে তারই হাতে ধার পড়ে। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৮ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৭ রান করেন। এরপর দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যান ধ্রুব শোরে। তিনি এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ বরে ৭ চারে অপরাজিত ৫৫ রান করেন। তানভীর ইসলাম ৬৩ রানে ৩টি ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৫ রানে নেন ২টি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর সূচনা হয় প্রাইম ব্যাংকের চেয়ে অনেক ভালো। তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। মুনিম শাহরিয়ার, নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনজনেই মারমুখি ব্যাটিং করেন। কিন্তু এই তিনজন ছাড়া আর কেউ রান করতে না পারলে আবাহনী ওভার প্রতি ৭.২২ করে রান সংগ্রহ করেও ২৪৯ রানে যখন অলআউট হয়, তখনো ওভার বাকি ১৫.৩টি।
মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন শান্ত আবহনীকে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৩ ওভারে ১১০ রান এনে দেন। মুনিম শাহরিয়ার মাত্র ৩৯ বলে ১১ চারে ৬১ রান করে ধ্রুব শোরের বলে অনিকের হাতে ধরা পড়নে। তিনি আউট হওয়ার পর আবাহনী দ্রুতই লিটন কুমার দাস (৭) ও মাহমুদুল হাসান জয়কে (৫) হারায়। দ্রুত এই দুই উইকেট হারানোর ফলে উড়ন্ত সূচনায় একটা ধাক্কা খায়। এই ধাক্কা সামলে উঠে চতুর্থ উইকেট জুটিতে নাজমুল ও মোসাদ্দেক হাল ধরলে। জুটিতে ৮১ রান আসার পর নাজমুল ৭০ বলে ২ ছক্কা ৬ চারে ৭৬ রান করে আল আমিন জুনিয়রের বলে আকবর আলীর হাতে স্ট্যাম্পিং হন। এরপর আল আমিন জুনিয়র ভয়ংকর হয়ে উঠলে আবাহনী শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ২২ রানে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫০ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৩ রান করে আল আমিন জুনিয়রের বলে কাজী অনিকের হাতে ধরা পড়েন। আল আমিন জুনিয়র মাত্র ৪.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রানে নেন ৬ উইকেট।
এমপি/